সঞ্জীব কুমার দাস, কাপাসিয়া : গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা শাখা স্বেচ্ছাসেবকদল সদস্য সচিব মোঃ সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যে প্রণোদিত মিথ্যা ষড়যন্ত্রমূলক সংবাদ প্রচার ও থানায় অভিযোগে তাঁর পরিবার সংবাদ সম্মেলন করেছেন। আজ শনিবার বিকেলে কাপাসিয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এর সংবাদ সম্মেলন করেন।

স্বেচ্ছাসেবকদল সদস্য সচিব মোঃ সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী তানিয়া আক্তার লিখিত বক্তব্যে জানান, তাঁর স্বামী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কাপাসিয়া উপজেলা শাখার সদস্য সচিব। গত ০৪ নভেম্বর তারিখে কাপাসিয়া থানাধীন রায়েদ ইউনিয়নের ভুলেশ্বর এলাকায় শ্রীপুর হতে আসা সাংবাদিকদ্বয়ের ওপর হামলার প্রেক্ষিতে সাংবাদিক মোজাহিদ বাদী হয়ে হত্যা চেষ্টার একটি লিখিত অভিযোগ করেন কাপাসিয়া থানায়। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হচ্ছে ওই দিন আমার স্বামী গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী শাহ্ রিয়াজুল হান্নান রিয়াজ সাহেবের নির্বাচনী প্রচারণায় তাহার সাথে উপজেলার খিরাটী, ঘাগটিয়া ও সনমানিয়া এলাকায় সকাল সাড়ে দশটা হতে রাত আটটা পর্যন্ত রাজনৈতিক সমাবেশে ছিল। উক্ত রাজনৈতিক সমাবেশে স্ব-শরীরে উপস্থিত থেকে সমাবেশের লাইভ ভিডিও আমার স্বামী তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেইসবুক আইডিতে) লাইভ শেয়ার করেন। এতে প্রতিয়মান আমার স্বামীউক্ত ঘটনার সাথে জড়িত নয়। তথ্য যাচাই-বাছাই না করে একটি স্বার্থান্বেষী মহলের দেওয়া মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে আমার স্বামীকে আসামী করা হয়েছে। সঠিক তদন্ত করলে প্রকৃত সত্য বের হয়ে আসবে। আমার স্বামী একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে বিগত স্বৈরাশাসকের আমলে তার ওপর হামলা মামলা করা হয়েছে। আমার স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য সম্বলিত একটি (ভিডিও) সংবাদ প্রচার করা হয়েছে। এতে আমার স্বামী সহ আমার পরিবারের মানহানী ঘটেছে এবং আমার স্বামীকে দলীয় পদ হতে বহিস্কার করা হয়েছে। যা অত্যান্ত দুখঃজনক ও কষ্টদায়ক। আমি আমার স্বামীর বিরুদ্ধে আনিত ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য বিহীন সংবাদ প্রচার এবং অভিযোগের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমার স্বামীর বিরুদ্ধে সকল মিথ্যা অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে তদন্ত পূর্বক ন্যায় বিচার দাবী সহ আমার স্বামীকে

মিথ্যা অভিযোগের দায় হতে অব্যাহতির দাবী জানাচ্ছি।

কাপাসিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক অমিতাভ জানান, এই ঘটনায় ফকাপাসিয়া থানায় একটি মামলা হয়েছে মামলা তদন্ত করতে গিয়ে জানা যায় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা সিরাজুল ইসলাম এই ঘটনার সাথে জড়িত নয়। এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে শ্রীপুরের রেঞ্জ কর্মকর্তা এম এম রহমান রিপন তাঁর ফেসবুক পেইজে উল্লেখ করেন, কাপাসিয়ার ভুলেশ্বর মৌজার সরকারি বন হতে শাল গাছ কর্তনের সংবাদটি সঠিক নয়, মূলত জোতভূমি হতে গাছগুলো কর্তন করা হয়েছে। এর আগেও আমরা জরিপ করেছি‌। আজও জরিপ করে নিশ্চিত হলাম। মিথ্যা তথ্য তথা গুজব না ছড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে বিনীতভাবে অনুরোধ করা হলো। সেইসাথে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের জন্য সাংবাদিক ভাইদের প্রতি অনুরোধ জ্ঞাপন করছি। আমরা আপনাদের প্রতিপক্ষ নই। স্বল্পসংখ্যক জনবল নিয়ে বিনিদ্র রজনী পার করে হলেও বনজসম্পদ রক্ষার্থে আমরা বদ্ধপরিকর। সেজন্য প্রয়োজন আপনাদের সহযোগিতার হাত। সেটা না করে বন কর্মকর্তাদের যোগসাজশে সরকারি গাছ কর্তন নামক শব্দটি ব্যবহার করেছেন, তা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি। আশা করি মহান আল্লাহ্ সুবাহানাতালা আপনাদের বোধশক্তি বাড়িয়ে আলোর পথে ফিরিয়ে এনে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে হেদায়েত দান করবেন। জনস্বার্থে ফেসবুকে সবাই বিষয়টি শেয়ার করবেন।

(এসকেডি/এসপি/নভেম্বর ০৮, ২০২৫)