স্টাফ রিপোর্টার : সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদটি ১৩তম গ্রেডের। এটিকে এক লাফে ১০ম গ্রেডে আনার সপক্ষে তেমন কোনো যুক্তিই নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।

তিনি বলেন, বেশিরভাগ সহকারী শিক্ষক মনে করেন দশম গ্রেডের এ দাবি যৌক্তিক নয়। প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেডে উন্নীত করা হয়েছে। সাধারণ শিক্ষকদের সংখ্যা অনেক বেশি। ফলে তাদের দশম গ্রেডে আনা; এটি সম্ভব নয়। একবারে ১৩ থেকে ১০ম গ্রেডে আনার কোনো যুক্তিই নেই। তারা যেন ১১তম গ্রেড পেতে পারেন, সেজন্য আমরা কাজ করছি। তাদের এ মুহূর্তে আন্দোলনে যাওয়াটাও যৌক্তিক নয়।

শনিবার (৮ নভেম্বর) খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতির যে বিষয়টি, সেটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বলেছে সরকারের নীতি অনুযায়ী শতভাগ পদোন্নতি দেওয়া যাবে না। আমরা সেজন্য ৮০ শতাংশ পদোন্নতি দিয়েছি। আগে ছিল ৬৫ শতাংশ। বাকি যে ২০ শতাংশ থাকছে, সেটা সরাসরি নিয়োগ করা হবে।

এর আগে প্রাথমিক শিক্ষার গুণগতমান উন্নয়নে শিক্ষাসংশ্লিষ্ট অংশীজনের ভূমিকা বিষয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় মন্ত্রণালয়, বিভাগীয় প্রশাসন, জেলা প্রশাসন, শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় শিক্ষকদের নৈতিক, ব্যবহারিক, সহশিক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ে দিক-নির্দেশনা দেওয়া হয়।

(ওএস/এএস/নভেম্বর ০৯, ২০২৫)