বিশেষ প্রতিনিধি : মিশরের নির্মানাধীন এল-দাবা পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের জন্য রাশিয়ায় নির্মিত রিয়্যাক্টর প্রেসার ভেসেল সফলভাবে নির্মান সাইটে ডেলিভারি করা হয়েছে। রসাটমের মিডিয়া উইং এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে রিয়্যাক্টর প্রেসার ভেসেল ডেলিভারির খবর জানিয়েছে।

পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য রিয়্যাক্টর প্রেসার ভেসেল একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এর ভিতরেই অবস্থান করে রিয়্যাক্টর কোর, যেখানে নিয়ন্ত্রিত ফিশন চেইন রিয়্যাকশন সংঘঠিত হয়ে থাকে। তাই, এটিকে সম্পূর্ণ লীকপ্রুফ করে তৈরি করা হয় এবং এটি চরম চাপ ও তাপ সহ্য করতে সক্ষম যা বিদ্যুৎ ইউনিটের নিরাপত্তা ও নির্ভরযোগ্যতার জন্য অত্যন্ত জরুরী।

রুশ রাষ্ট্রীয় পরমাণু সংস্থা রসাটমের যন্ত্রপ্রকৌশল বিভাগের ইঝোরা কারখানায় ভেসেলটি নির্মান করা হয়েছে। এটির ওজন ৩৩০টনেরও অধিক। ভেসেলটি নির্মানকালে বিভিন্ন কনট্রোল পয়েন্টে এর তদারকি করেন এল-দাবা প্রকল্পের প্রতিনিধিবৃন্দ, যার মাধ্যমে এর উচ্চ গুনগত ও নিরাপত্তা মান সম্পর্কে নিশ্চিত হবার সুযোগ পান।

রাশিয়ার সেন্ট পীটার্সবার্গ থেকে ১ অক্টোবর ২০২৫ শিপমেন্টের পর ২০দিনের সমূদ্র যাত্রা সম্পন্ন করে ভেসেলটি প্রকল্প সাইটে এসে পৌছে।

মিশরের পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ডঃ শেরিফ হেলমি জানান, “নভেম্বরের মাঝামাঝি নাগাদ রিয়্যাক্টর প্রেসার ভেসেলটি প্রথম ইউনিটে ডিজাইন পজিশনে স্থাপন করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকলে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এটি প্রকল্পের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক”।

এতমস্ত্রয়এক্সপোর্টের ভাইস-প্রেসিডেন্ট এবং এল-দাবা এনপিপি নির্মান প্রকল্পের পরিচালক আলেক্সি কনোনেনকা বলেন, “আমরা চলতি বছরের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক অর্জনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি আর এটি হলো প্রকল্পের প্রথম ইউনিটের ডিজাইন পজিশনে রিয়্যাক্টর প্রেসার ভেসেলটি স্থাপন”।

মিশরের প্রথম ও একমাত্র পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্প- এল-দাবা’র জেনারেল ডিজাইনার এবং কন্ট্রাক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে রসাটমের প্রকৌশল শাখা। উল্লেখ্য, এতমস্ত্রয়এক্সপোর্ট বাংলাদেশের একমাত্র পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র রূপপুর এনপিপি’রও জেনারেল ডিজাইনার ও কন্ট্রাক্টর। রূপপুর প্রকল্পে প্রতিটি ১,২০০ মেগা-ওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন দু’টি ইউনিট স্থাপিত হচ্ছে। অদূর ভবিষ্যতে, প্রথম ইউনিটের স্টার্টআপের জন্য প্রয়োজনীয় কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।

(এসকেকে/এসপি/নভেম্বর ০৯, ২০২৫)

পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য রিয়্যাক্টর প্রেসার ভেসেল একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এর ভিতরেই অবস্থান করে রিয়্যাক্টর কোর, যেখানে নিয়ন্ত্রিত ফিশন চেইন রিয়্যাকশন সংঘঠিত হয়ে থাকে। তাই, এটিকে সম্পূর্ণ লীকপ্রুফ করে তৈরি করা হয় এবং এটি চরম চাপ ও তাপ সহ্য করতে সক্ষম যা বিদ্যুৎ ইউনিটের নিরাপত্তা ও নির্ভরযোগ্যতার জন্য অত্যন্ত জরুরী।
রুশ রাষ্ট্রীয় পরমাণু সংস্থা রসাটমের যন্ত্রপ্রকৌশল বিভাগের ইঝোরা কারখানায় ভেসেলটি নির্মান করা হয়েছে। এটির ওজন ৩৩০টনেরও অধিক। ভেসেলটি নির্মানকালে বিভিন্ন কনট্রোল পয়েন্টে এর তদারকি করেন এল-দাবা প্রকল্পের প্রতিনিধিবৃন্দ, যার মাধ্যমে এর উচ্চ গুনগত ও নিরাপত্তা মান সম্পর্কে নিশ্চিত হবার সুযোগ পান।
রাশিয়ার সেন্ট পীটার্সবার্গ থেকে ১ অক্টোবর ২০২৫ শিপমেন্টের পর ২০দিনের সমূদ্র যাত্রা সম্পন্ন করে ভেসেলটি প্রকল্প সাইটে এসে পৌছে।
মিশরের পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ডঃ শেরিফ হেলমি জানান, “নভেম্বরের মাঝামাঝি নাগাদ রিয়্যাক্টর প্রেসার ভেসেলটি প্রথম ইউনিটে ডিজাইন পজিশনে স্থাপন করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকলে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এটি প্রকল্পের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক”।
এতমস্ত্রয়এক্সপোর্টের ভাইস-প্রেসিডেন্ট এবং এল-দাবা এনপিপি নির্মান প্রকল্পের পরিচালক আলেক্সি কনোনেনকা বলেন, “আমরা চলতি বছরের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক অর্জনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি আর এটি হলো প্রকল্পের প্রথম ইউনিটের ডিজাইন পজিশনে রিয়্যাক্টর প্রেসার ভেসেলটি স্থাপন”।
মিশরের প্রথম ও একমাত্র পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্প- এল-দাবা’র জেনারেল ডিজাইনার এবং কন্ট্রাক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে রসাটমের প্রকৌশল শাখা। উল্লেখ্য, এতমস্ত্রয়এক্সপোর্ট বাংলাদেশের একমাত্র পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র রূপপুর এনপিপি’রও জেনারেল ডিজাইনার ও কন্ট্রাক্টর। রূপপুর প্রকল্পে প্রতিটি ১,২০০ মেগা-ওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন দু’টি ইউনিট স্থাপিত হচ্ছে। অদূর ভবিষ্যতে, প্রথম ইউনিটের স্টার্টআপের জন্য প্রয়োজনীয় কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।
স্বপন কুমার কুন্ডু০১৭১১-১৫০০১০