ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : পদ্মার চরে যৌথবাহিনীর দূর্ধর্ষ "অপারেশন ফাস্ট লাইট" অভিযানে বিপুল পরিমান দেশীয় অস্ত্র, মাদক ও ১০টি আগ্নেয়াস্ত্র-গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় পদ্মার চর এলাকা ও ঈশ্বরদী উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ৫৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী।  গ্রেপ্তারকৃতদের অধিকাংশই পূর্বের বিভিন্ন মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী ।  

শনিবার (৮ নভেম্বর) দিবাগত রাত থেকে রবিবার রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি মোহাম্মদ শাজাহানের নির্দেশনায় ১২০০ সদস্য নিয়ে "অপারেশন ফাস্ট লাইট " অভিযান পরিচালনা করেন যৌথবাহিনী।

জানা গেছে, পাবনার ঈশ্বরদী ও আমিনপুর, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর, নাটোরের লালপুর এবং রাজশাহীর বাঘা এলাকায় পদ্মার চর ও নদীপথে ব্যাপক ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আসছিল ১১ টি সন্ত্রাসী বাহিনী। কথায় কথায় গুলিবর্ষণ ও প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়ায় আতংকে দিন পার করছিলেন পদ্মা তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা।

গত ২৭ অক্টোবর রাজশাহীর বাঘা ও কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তের ১৪ হাজার মাঠ নামে চাকলার চরে গুলিতে আমান মন্ডল ও নাজমুল মন্ডল নামে দুই যুবক নিহত হয়। এ ঘটনার পরই প্রশাসনের যৌথবাহিনী "অপারেশন ফাস্ট লাইট" অভিযান পরিচালনা করে মোট ১১ টি সন্ত্রাসী বাহিনীর ৫৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে রাজশাহীর ১৪ জন, পাবনার ২৪ জন, কুষ্টিয়া ও নাটোরের ২০ জন রয়েছেন। তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমান দেশীয় অস্ত্র, ১০ টি আগ্নেয়াস্ত্র-গুলি, মাদক ও ৫টি মোটরসাইকেল উদ্ধার হয়েছে।

রবিবার বিকেলে রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মোহাম্মদ শাজাহান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে পদ্মার চর এলাকায় এসব সন্ত্রাসীবাহিনী কথায় কথায় গুলি, মানুষ হত্যা, চরের জমি দখল ও ফসল লুট, অপহরণ, চাঁদাবাজিসহ নানা সন্ত্রাসী কার্যক্রম বিস্তার করে আসছিল। সাধারন মানুষকে স্বস্তি দিতে ও তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধে এ অভিযান করা হয়েছে। পদ্মার তীরবর্তী এলাকার মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভবিষ্যতেও আমাদের এধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

ঈশ্বরদী থানার ওসি মো. আ স ম আব্দুন নুর বলেন, অপারেশন ফাস্ট লাইট অভিযানে গ্রেপ্তারকৃতদের অধিকাংশই পূর্বের বিভিন্ন মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী। এর মধ্যে ২১ জনকে থানায় এনে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
(এসকেকে/এএস/নভেম্বর ১০, ২০২৫)