টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের গোপালপুরে উপজেলা নির্বাচন অফিসে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় পৌর বিএনপির সভাপতি-সম্পাদকসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ১২০ জনকে উল্লেখ করে থানায় মামলা রজ্জু করেছে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা।

এ ঘটনার দিন সোমবার বিকেলেই উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম গোপালপুর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

আসামিদের মধ্যে রয়েছেন-উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী লিয়াকত আলী, পৌর বিএনপির সভাপতি খালিদ হাসান উত্থান, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. লিটন, যুগ্ম সম্পাদক মহির উদ্দিন, যুবদল নেতা কামরুল ইসলাম এবং পৌর ছাত্রদলের সভাপতি মো. তুহিনসহ অজ্ঞাত ১২০ জন।

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অভিযুক্তরা উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে গিয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডা শুরু করেন এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এ সময় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর হামলা, ভাঙচুর ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় প্রায় ৮০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।

হামলায় উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম, সহকারী কর্মকর্তা আবু রায়হান, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর আমজাদ হোসেনসহ কয়েকজন আহত হন।

ঘটনার পর টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান, জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা তাজুল ইসলামসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

ডাটা এন্ট্রি অপারেটর আমজাদ হোসেন বলেন, আমরা কাউকে কিছু বলিনি। কিন্তু বিনা কারণে আমাদের মারধর করা হয়েছে। জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

মামলার বাদী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, আমরা নিয়মিত কাজ করছিলাম। হঠাৎ এসে নেতাকর্মীরা গালিগালাজ শুরু করে এবং ভাঙচুর চালায়। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় আছি।

জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম এ ঘটনাকে ‘ন্যাক্কারজনক’ অভিহিত করে সংশ্লিষ্টদের শাস্তির দাবি জানান।

পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের ওপর হামলা উদ্বেগজনক। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(এসএম/এসপি/নভেম্বর ১১, ২০২৫)