রবিউল ইসলাম, গাইবান্ধা : গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে জমাজমি নিয়ে সংঘর্ষে আল আমিনসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে, এ ব্যাপারে আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে থানায় এজাহার দায়ের করেছেন।

থানায় দায়েরকৃত এজাহার সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার ছোট শিমুলতলা গ্রামের মৃত মোসলেম উদ্দিনের ছেলে আলমগীর হোসেনের সাথে একই এলাকার জাইদুল ও তার অনুসারিদের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ জমিজমা নিয়ে মনোমালিন্য চলে আসছিল।

আলমগীর হোসেন জানান, গত ৮ নভেম্বর সকালে আমার পৈত্রিক সুত্রে পাওয়া ভোগদখলকৃত ৬ শতক জমিতে জাইদুল ইসলাম ও তার অনুসারীরা পরিকল্পিতভাবে বাঁশের লাঠি, লোহার রডসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অনধিকার প্রবেশ করে জমি দখল করার উদ্দেশ্যে জোরপূর্বক রাজ মিস্ত্রি নিয়ে ইটের ঘর তোলার চেষ্টা করে। আমিসহ আমার বড় ভাই আল আমিন তাদের ইটের ঘর তুলতে বাধা দিলে তারা অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা আমার বড় ভাই আল আমিন, বড় ভাবি ফেরেজা বেগম, আমার স্ত্রী চম্পা ভাতিজি শিমু বেগম, আখি বেগম, মা রাবেয়া বেগমকে জাইদুলের হুকুমে তাদের হাতে থাকা লাঠি, লোহার রড দিয়ে মারপিট করে, তাদের মারপিটে আমার বড় ভাই আল আমিন মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করান।

আলমগীর হোসেন ও তার পরিবারের লোকজন জানান, এই জমি নিয়ে এলাকায় একাধিকবার সালিস বৈঠক হলেও তারা কোন ধরনের সালিস বৈঠক মানেন না। এই জমি নিয়ে তারা গাইবান্ধা বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালত উভয়পক্ষের কাগজপত্র পর্যালোচনা করে আমাদের পক্ষে রায় দেন। তারপরেও তারা জমি দখলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে, ৮ নভেম্বর সকালে তারা জমি দখল করতে গেলে আমরা বাধা দিলে তারা হামলা চালায়।

আলমগীর হোসেনের ভাই আল আমিন জানান, জাইদুল ইসলামরা আমাদেরকে যখম করে উল্টো নিজেরাই নিজেদের হাতের আঙ্গুল কেটে নিজেরাই আহত হয়ে আমাদেরকে ফাঁসানোর জন্য জন্য আমাদের নামে মামলা করেছে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

এ ব্যাপারে আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে জাইদুল ইসলামসহ ১২ জনের নামে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

(আরআই/এসপি/নভেম্বর ১৩, ২০২৫)