ঈশ্বরদীতে দুই ছেলেসহ মাকে ৬ ঘণ্টা জিম্মি করে ডাকাতি
ঈশ্বরদী প্রতিনিধি : পাবনার ঈশ্বরদী পৌরশহরের শেরশাহ রোডে ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতদল শনিবার (১৫ নভেম্বর) বিকেল ৩টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত একটি ফ্ল্যাটের তিনজনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে লুটপাট চালায়।
শহরের মশিউর রহমান মজনুর বাড়ির দ্বিতীয় তলায় ভাড়াটিয়া আল্পনা খাতুন (৪০) তার দুই ছেলে অনুপম আহমেদ গৌরব (২৩) এবং অর্ক বিশ্বাসকে (১৫) নিয়ে থাকেন। বিকালে পরিচিত ব্যক্তি শুটার আলমগীর (৪৫) পানি পান করার অজুহাতে তিন সহযোগীসহ বাসায় প্রবেশ করেন। ঘরে ঢুকেই দরজা আটকিয়ে তিনি আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে তিনজনকে জিম্মি করে ফেলেন।
আল্পনা খাতুন জানান, ডাকাতদল আলমারির তালা ভেঙে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা, সাত ভরি স্বর্ণালংকার এবং চারটি মোবাইল ফোন লুট করে। লুট শেষে তিনজন সহযোগী বের হয়ে গেলেও আলমগীর ভেতরে থেকে যায়। একপর্যায়ে সুযোগ বুঝে তাকে একটি কক্ষে আটকে ফেলেন পরিবারের সদস্যরা। বের হওয়ার চেষ্টা করলে ছেলে গৌরব রড দিয়ে আঘাত করলে আলমগীর পড়ে যায় এবং তার হাতে থাকা ইতালির তৈরি পিস্তলটি তারা নিয়ে নেয়। এরপর চিৎকার শুরু করলে আলমগীর রান্নাঘরের গ্রিল ভেঙে পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, ১২ রাউন্ড গুলিভর্তি ম্যাগাজিন এবং ডাকাতদের ফেলে যাওয়া নম্বরবিহীন একটি ইয়ামাহা ভি-টু ১৬০ সিসি মোটরসাইকেল উদ্ধার করে।
ঈশ্বরদী আমবাগান ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর আফজাল হোসেন বলেন, “খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যাই। ভিকটিমের বর্ণনা অনুযায়ী দস্যুরা পূর্বপরিচিত। আলমগীর প্রথমে একাই বাড়িতে ঢুকে পরে ফোনে তিনজনকে ডেকে আনেন। চারজন মিলে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও মোবাইল লুট করেছে বলে ভিকটিম অভিযোগ করেছেন।
ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রণব কুমার সরকার বলেন, “শুটার আলমগীরসহ চারজনের বিরুদ্ধে দস্যুতা মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে অভিযুক্তদের শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।”
(এসকেকে/এসপি/নভেম্বর ১৬, ২০২৫)
