স্টাফ রিপোর্টার : আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, উচ্চ আদালতের সচিবালয়ের মাধ্যমে নিম্ন আদালতের যে আর্থিক ব্যবস্থাপনা বা আর্থিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়েছে, তার আওতায় যাচাই-বাছাই কমিটির মাধ্যমে সুপারিশকৃত প্রকল্পে ৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত প্রধান বিচারপতি নিজেই অনুমোদন দিতে পারবেন। ৫০ কোটি টাকার বেশি হলে প্রধান বিচারপতি সেটি পরিকল্পনা কমিশনের মাধ্যমে একনেকের সভায় উপস্থাপন করবেন। তবে ভবিষ্যতে প্রকল্প সংশোধিত হলে, খরচ বা সময় বৃদ্ধি পেলে আরও ৫০ কোটি পর্যন্ত অনুমোদনের ক্ষমতা প্রধান বিচারপতির হাতে থাকবে।

বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি একথা বলেন।

আইন উপদেষ্টা জানান, উচ্চ আদালত কিংবা নিম্ন আদালত তথা সম্পূর্ণ বিচার বিভাগের উন্নয়ন বা যেকোনো ধরনের প্রকল্প গ্রহণ করার ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের উচ্চ আদালতের সচিবালয়ের নেতৃত্বে একটি যাচাই-বাছাই কমিটি থাকবে। যাচাই-বাছাই কমিটি প্রকল্প গ্রহণ করবে। সেই প্রকল্প পরামর্শের জন্য একটি কমিটির কাছে পাঠানো হবে। সেই কমিটির প্রধান থাকবেন উচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতির সম্মতিতে আপিল বিভাগের বিচারক।

সেই কমিটি সুপারিশ করার পর সুপারিশকৃত প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় যদি ৫০ কোটি টাকা বা তার কম হয়, সে ক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতি তা অনুমোদন করবেন, আর কারো অনুমোদনের প্রয়োজন হবে না।

৫০ কোটি টাকার বেশি হলে তখন প্রধান বিচারপতি সেটা পরিকল্পনা কমিশনের মাধ্যমে একনেকের সভায় উপস্থাপন করবেন। ৫০ কোটি টাকার প্রাক্কলিত ব্যয়ের এ ধরনের প্রকল্প অনুমোদনের ক্ষমতা উচ্চ আদালত পেয়ে যাচ্ছে। এই প্রকল্পের টাকা ৫০ কোটিতেই সীমাবদ্ধ নয়। এটা যদি ভবিষ্যতে সংশোধিত হয়, খরচ বা সময় বৃদ্ধি পেলে আরও ৫০ কোটি পর্যন্ত অনুমোদনের ক্ষমতা প্রধান বিচারপতির হাতে থাকবে।

উচ্চ আদালতের বিচারকদের বা উচ্চ আদালতের এবং একই সঙ্গে সচিবালয়ের সকল খরচাদি, সকল ব্যয় আইন মন্ত্রণালয়ের যে সংযুক্ত তহবিল আছে সেটার উপর দায় যুক্ত থাকবে। অর্থাৎ কনসোলিডেটেড যে ফান্ড আছে সেটাতে চার্জ হবে।

সরকারের পক্ষ থেকে যখন উচ্চ আদালতের বাজেট অনুমোদন করা হবে, এ বাজেট ব্যবস্থাপনার সম্পূর্ণ স্বাধীনতা উচ্চ আদালতের থাকবে। এমনকি এই বরাদ্দকৃত অর্থের যদি পুনঃব্যবহারের ক্ষেত্র তৈরি হয়, উচ্চ আদালতের কোনো পূর্ব অনুমোদনের প্রয়োজন হবে না।

তিনি বলেন, বাজেট প্রণয়ন, বাজেট ব্যবস্থাপনা, প্রকল্প গ্রহণ, সচিবালয় প্রতিষ্ঠা সংক্রান্ত যে বিধান আছে সে বিধান এই আইনটা গেজেটে প্রকাশিত হওয়ার পর, গেজেট নোটিফিকেশনের সাথে সাথে কার্যকর হয়ে যাবে।

আর নিম্ন আদালতের বিচারকদের যে কন্ট্রোল ও শৃঙ্খলা, সেটা সচিবালয় প্রতিষ্ঠার কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর আইন মন্ত্রণালয় সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে কার্যকর করবে। কিন্তু বাজেট ও আর্থিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বিষয়াদি গেজেট নোটিফিকেশনের সাথে সাথে কার্যকর হয়ে যাবে।

(ওএস/এএস/নভেম্বর ২১, ২০২৫)