টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : সারাদেশের ন্যায় টাঙ্গাইলেও ভূমিকম্পে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মাত্র কয়েক সেকেন্ডের ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো টাঙ্গাইলবাসী। 

আজ শুক্রবার সকালে হঠাৎ কয়েক সেকেন্ডের জন্য কম্পন টের পান জেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষ। হঠাৎ কাঁপুনিতে ঘরবাড়ি, দোতলা ও বহুতল ভবন ও দোকানপাট থেকে অনেকেই দ্রুত বাইরে বের হয়ে আসেন। স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকলেও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সাময়িক আতঙ্ক তৈরি হয়। জেলাবাসী উৎকণ্ঠিত হয়ে পড়ে।

স্থানীয়রা জানায়, ভূকম্পনের সময় অনেকেই আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন। ২৭ সেকেন্ডের দুলুনিতে ভবনে বাস করা অনেকেই উৎকণ্ঠিত হয়ে পড়েছিলেন। ঘরের আসবাবপত্র-থালা-বাটি পড়ে যাচ্ছিল। অগুনসহ চুলা কেঁপে উঠায় অনেক গৃহিনী ভেবেছেন এই বুঝি ভবনটি ভেঙে পড়ছে। কম্পনের ফলে অনেকেই দ্রুত রাস্তায় নেমে আসে। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও সংবাদমাধ্যমে দেশের অন্যান্য জেলায় ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার খবর জানতে পেরে তারা বুঝতে পারেন এটি ভূমিকম্পই ছিল। ভূমিকম্পে তাৎক্ষণিকভাবে টাঙ্গাইল জেলায় বড় কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে অনেক স্থানে বৈদ্যুতিক খুঁটি ও ঝুলন্ত তার দুলতে দেখা গেছে বলে জানান স্থানীয়রা। জেলার বেশ কিছু এলাকার মোবাইল নেটওয়ার্কে সাময়িক সমস্যা দেখা দেয়, ফলে অনেকে মুহূর্তকাল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন।

টাঙ্গাইল শহরের আদি টাঙ্গাইল এলাকার মোজাম্মেল হক, হাসান , রহিমা রহমান, আলিফ আহসান সহ অনেকেই জানান, হঠাৎ মনে হলো ঘরটা কাঁপছে। কয়েক সেকেন্ডের মতো স্থায়ী ছিল। তারা স্ত্রী-সন্তান নিয়ে দ্রুত নিচে নেমে আসেন।

ভূমিকম্পের পর সচেতনতা বাড়াতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জরুরি বার্তা ছড়িয়ে দেন স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো। তারা সবাইকে আতঙ্কিত না হয়ে ভবনের সিঁড়ি ব্যবহার, উন্মুক্ত স্থানে অবস্থান এবং জরুরি বহির্গমন পথ প্রস্তুত রাখার আহ্বান জানান। হঠাৎ ঘটে যাওয়া এই ভূকম্পনে বড় কোনো ক্ষতি না হলেও স্থানীয়দের মধ্যে সতর্কতা ও উদ্বেগ রয়ে গেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ভবিষ্যতে যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় ভূমিকম্প-সহনীয় ভবন নির্মাণ ও দুর্যোগে পূর্বপ্রস্তুতি নিশ্চিত করা জরুরি।

(এসএম/এসপি/নভেম্বর ২১, ২০২৫)