বকশীগঞ্জে ৫৯ জনের নামে মামলা, অজ্ঞাত আসামি ৩০০
রাজন্য রুহানি, জামালপুর : জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার মিছিলে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে ৫৯ জনের নামে বকশীগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের আহবায়ক শাহরিয়ার আহমেদ সুমন। এ মামলায় ৩০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
মামলায় বকশীগঞ্জ- দেওয়ানগঞ্জ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি নুর মোহাম্মদ, তার ভাই সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সাত্তার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীনা বেগম, সহসভাপতি শফিকুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বিজয়, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জুমান তালুকদার, জহুরা বোগম, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য শিলা সারোয়ার, জয়নাল আবেদীন, বাট্টাজোড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুয়েল তালুকদার, সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু, ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান লাকপতি, মেরুরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিক, সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদের এপিএস মোস্তাফিজুর রহমন বিপ্লব ও ইঞ্জিনিয়ার শফিকুল ইসলাম বিদ্যুৎ, উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক রাজন মিয়াসহ ৫৯ জন নামীয় এবং ৩০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
২০ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) মামলাটি দায়ের হলেও ২৪ নভেম্বর (সোমবার) বিষয়টি নিশ্চিত করেন বকশীগঞ্জ থানার ওসি খন্দকার শাকের আহমেদ।
মামলার এজাহারসূত্রে জানা যায়, গত বছরের জুলাইয়ে ফ্যাসিস্ট বিরোধী আন্দোলন চলাকালে ১৭ জুলাই বিকেল ৩ টার দিকে বকশীগঞ্জ পৌর শহরে একটি মিছিল বের করে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা।
আন্দোলন দমাতে মিছিলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালান এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। পরে তারা বিসমিল্লাহ্ হোটেলে অগ্নিসংযোগ করেন।
পরদিনও একইভাবে সরকার পতনের লক্ষ্যে ছাত্র-জনতা বিক্ষোভ মিছিল বের করলে নামীয় আসামিরাসহ অজ্ঞাত আরও ২শ থেকে ৩শ ব্যক্তি আবারও হামলা ও ভাঙচুর চালান। তাদের হামলায় মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
গত বছরের আগস্টে সরকার পতনের পর পালিয়ে যায় আওয়ামী লীগের চিহ্নিত নেতাকর্মীরা।
এ বিষয়ে বকশীগঞ্জ থানার ওসি খন্দকার শাকের আহমেদ জানান, তদন্ত করে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে।
(আরআর/এএস/নভেম্বর ২৪, ২০২৫)
