বিকাশ স্বর্ণকার, সোনাতলা : বগুড়ার সোনাতলায় কৃষকের স্বপ্নের আমন ধান মাঠে কাটছেন ও নেট বিছিয়ে মাড়াই করছেন।

জানা গেছে, গ্রামের চিরায়িত নিয়ম অনুযায়ী নবান্নের পর থেকে সাধারণত কৃষক মাঠের আমন ধান কাটা ও মাড়াই শুরুর কাজটি করে থাকেন। মাঠে গিয়ে চোখে পড়লো কৃষকেরা গুন গুন করে গান গাইছেন আর গানের তালে ধান কেটে মাঠেই বিছিয়ে রাখছেন। এরপর ধান মাড়াই থেকে শুরু করে সিদ্ধ করে রৌদ্রে শুকানো ও খর শুকিয়ে গাদা বা পালা দেয়া। সব মিলিয়ে একেবারেই ব্যস্ত সময় পার করছেন উপজেলার কৃষকেরা। যেন দোম ফুরানোর ফুরসত টুকুও তাদের নেই। এদিকে একেবারেই ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে কৃষাণিদের।

কৃষকদের কাছ থেকে জানা যায়, আমন ধান কেটে মাঠে সারিবদ্ধভাবে বিছিয়ে দিচ্ছে রৌদ্রে শুকাতে।সপ্তাহ খানেক রোদ্দুরে শুকালে ধানগুলো আটি বেধে বাড়ি এনে করবেন মাড়াই।

কৃষকেরা আরো জানান, গত মাস দুয়েক আগে হাল চাষ সহ জমি পরিচর্যা করে আমন ধানের চারা রোপণ করেছিলেন। ফলে এখন সেই চারাই তাদের স্বপ্নের ধানে রুপ নিয়ে দিগন্ত জুড়ে সোনালী রঙে হয়েছে প্রতিচ্ছবি। এদিকে চরমভাবে দেখা দিয়েছে শ্রমিক সংকট।

তারা জানাচ্ছিলেন, শ্রমিক সংকটের কারণে মাঠেই ধান পেকে কিছুটা মাঠেই নষ্ট হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে নিজের জমির ধান নিজেই কাটছেন। তবে ধান কাটার শ্রমিকরা জানিয়েছেন ধান কেটে বাড়ি পৌছানো বিঘাপ্রতি দু থেকে আড়াই হাজার হিসেবে নেয়া হচ্ছে।

কৃষক দুলাল চন্দ্র রায় ও কলিমুল্লাহ রহমান বলেন, আমন ধান লাগানো সহ কর্তন পর্যন্ত যে পরিমাণ টাকা খরচ হওয়ার কথা, এবার মুলত প্রকৃতিক বৃষ্টিতে খরচ কম হয়েছে এবং ধান বেশ ভালো হয়েছে। তাই সব খরচ বাদ দিয়েও ভালো মুনাফা ঘরে উঠবে বলে জানিয়েছেন তারা। ইতিমধ্যেই কৃষকেরা তাদের ধান বেচার উদ্দেশ্যে হাট বাজারে উঠাচ্ছেন।

বাজারে গিয়ে দেখা গেল, মণ প্রতি আমন ধান বিক্রি হচ্ছে ১হাজার থেকে ১২শ টাকায়। বেপারীরা জানান এখন ধান কেটে ওই অবস্থায় বিক্রির জন্য আনছেন কৃষক। তবে শুকনো ধান হলে আরো বেশি দামে কেনা লাগবে।

উপজেলা কৃষি অফিসার সোহরাব হোসেন বলেন, এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন ভালো হয়েছে। আশা করছি ধান থেকে কৃষকেরা বাড়তি মুনাফা ঘরে তুলতে পারবেন।

(বিএস/এসপি/নভেম্বর ২৪, ২০২৫)