স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর : গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (গাকৃবি) “করোনা মহামারি-পরবর্তী বাংলাদেশের টেকসই কৃষি পুনরুদ্ধার: ফসল, প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য খাতে সামাজিক অভিযোজন ও প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া বিশ্লেষণ” শীর্ষক এক গুরুত্বপূর্ণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

আজ বুধবার সকালে হায়ার এডুকেশন এক্সিলারেশন অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন (হিট) প্রকল্পের অর্থায়নে এবং প্রকল্পের উপ-ব্যবস্থাপক প্রফেসর ড. শেখ শামীম হাসানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে কর্মশালাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মশালার লক্ষ্য হলো করনা মহামারি জনিত অর্থনৈতিক, সামাজিক ও কৃষিভিত্তিক প্রভাবসমূহ বিশ্লেষণ করে একটি কার্যকর পুনরুদ্ধার রূপরেখা প্রণয়ন করা। যা জাতীয় কৃষি উন্নয়ন ও খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিতে ভবিষ্যৎ করণীয় নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা প্রদান করবে।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. এম. ময়নুল হক এবং ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ সফিউল ইসলাম আফ্রাদ।

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রফেসর ড. মোঃ রজব আলি এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রফেসর ড. মোঃ মতিউল ইসলাম বিশেষজ্ঞ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও অন্যান্য অতিথি হিসেবে দেশের স্বণামধন্য কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান থেকে গবেষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদীয় ডিন, পরিচালক, প্রক্টর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সাইফুল আলম, শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সহকারী উপ-প্রকল্প ব্যবস্থাপক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন কামাল। পরে প্রকল্পের উপ-ব্যবস্থাপক প্রফেসর ড. শেখ শামীম হাসান মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তাঁর উপস্থাপনায় করনা মহামারির প্রভাব মূল্যায়নে কৃষিসহ বিভিন্ন খাতে মহামারি কী ধরনের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও কাঠামোগত ক্ষতি করেছে তা পর্যালোচনা করেন। একই সাথে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা তৈরি করে কীভাবে ভবিষ্যৎ সংকট মোকাবেলার প্রস্তুতি গড়ে তোলা যায় সেসব বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করেন। প্রবন্ধ উপস্থাপনা শেষে ভাইস-চ্যান্সেলরের নেতৃত্বে এবং কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একটি উন্মুক্ত প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে প্রকল্পের ভবিষ্যৎ কার্যকরী সম্ভাবনা নিয়ে প্রাণবন্ত আলোচনা ও ফলপ্রসূ মন্তব্য উঠে আসে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “মহামারি প্রবণ বাংলাদেশে টেকসই কৃষি পুনরুদ্ধার কেবল উৎপাদন বৃদ্ধির বিষয় নয়, এটি কৃষকের জীবনমান উন্নয়ন, খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং গবেষণা ও প্রযুক্তির সমন্বয় সাধনের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত। গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সক্ষম করে তুলতে সক্ষমতা উন্নয়ন, উদ্ভাবন এবং মাঠ-সংযোগ কার্যক্রম আরও জোরদার করবে।”

(এস/এসপি/নভেম্বর ২৬, ২০২৫)