অগ্রণী ব্যাংকের সোনা শুধু শেখ হাসিনার নয়, তাঁর পরিবারের সদস্যদেরও
স্টাফ রিপোর্টার : অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুটি লকারে পাওয়া ৮৩২ দশমিক ৫ ভরি সোনা নিয়ে নতুন এক তথ্য দিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান শাখার দুটি লকারে শুধু ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারই নয়, তার বোন শেখ রেহানা এবং মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ পরিবারের অন্য সদস্যদেরও সোনা ছিল। আজ বুধবার এসব তথ্য জানান মো. আক্তার হোসেন।
দুদক মহাপরিচালক জানান, ভল্টে থাকা নথি এবং অন্যান্য তথ্য বিশ্লেষণ করে জানা গেছে যে জব্দকৃত স্বর্ণালংকারের মধ্যে কিছু অংশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত, আবার কিছু অংশ তার বোন এবং মেয়ের ব্যক্তিগত সম্পদ।
তিনি বলেন, স্বর্ণালংকারগুলো আলাদা আলাদাভাবে মার্কিং (চিহ্নিত) করা ছিল। আমাদের অনুসন্ধানকারী দলের কর্মকর্তারা এখন স্বর্ণালংকারগুলো আলাদা করবেন। কার কোন অংশটুকু আছে, তা নির্ধারণ করা হবে।
জব্দ করা ৮৩২ ভরি স্বর্ণালংকারের মধ্যে শেখ হাসিনার কতটুকু; এমন প্রশ্নের জবাবে মো. আক্তার হোসেন বলেন, সেই অংশটুকু নির্ধারণ করার জন্যই ইনভেন্ট্রি করা হয়েছে এবং তার যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেছেন, তার সঙ্গে মিলিয়ে যাচাই করে তার অংশটুকু নির্ধারণ করা হবে। এর জন্যই এত কার্যক্রম।
দুদকের চোখে জব্দ হওয়া এসব সোনা বৈধ না অবৈধ; সে বিষয়ে জানতে চাইলে মহাপরিচালক বলেন, সম্পদ বিবরণী যাচাই করলে জানা যাবে সোনাগুলো জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ কি না। যদি আয়ের উৎস জানা না যায় বা তা বৈধ আয়ের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ না হয়, তবেই তা অবৈধ সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
শেখ হাসিনার সম্পদ বাজেয়াপ্তের বিষয়ে আদালতের একটি নির্দেশনার আলোকে এই সম্পদ জব্দ করা হবে কি না–এমন প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, সেটা ভিন্ন জিনিস। আদালতের একটা আলাদা আদেশ রয়েছে। তবে, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ও বিধির আলোকে আমাদের অনুসন্ধান দল এই কার্যক্রম ঠিক করে আদালতের অনুমতিক্রমে যে সিদ্ধান্ত পাওয়া যাবে, সেই অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
(ওএস/এসপি/নভেম্বর ২৬, ২০২৫)
