স্টাফ রিপোর্টার : প্রথমবারের মতো গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপো-২০২৫ ঢাকা অনুষ্ঠিত হচ্ছে পূর্বাচলে অবস্থিত বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এই এক্সপো হবে আগামী ১ থেকে ৩ ডিসেম্বর।

বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের রপ্তানি সম্ভাবনা তুলে ধরা এবং আন্তর্জাতিক ব্যবসায়িক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করা এই আয়োজনের অন্যতম উদ্দেশ্য।

এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) রাজধানীতে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর সম্মেলন কক্ষে মিট দ্যা প্রেসের আয়োজন করা হয়। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ হাসান আরিফ এ এক্সপো সম্পর্কে বিস্তারিত উপস্থাপন করেন।

অন্যদের মধ্যে ইপিবির মহাপরিচালক বেবী রাণী কর্মকার ও মোঃ আকতার হোসেন আজাদ এবং পরিচালকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ব্রিফিংয়ে এক্সপো আয়োজনের লক্ষ্য, সার্বিক প্রস্তুতি, বৈদেশিক অংশগ্রহণ এবং দেশের রপ্তানি সম্ভাবনা বাড়ানোর কৌশল তুলে ধরা হয়।

এবারের এক্সপোতে আফগানিস্তান, চীন, ইরান, জাপান, মিয়ানমার, পাকিস্তান, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, ইউএই এবং ইউএসএসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ক্রেতা, বিনিয়োগকারী এবং সোর্সিং প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করবে। বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য আটটি রপ্তানিখাত যথা-তৈরি পোশাক, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, কৃষি ও কৃষিজাত পণ্য, প্লাস্টিক ও কিচেনওয়্যার, হোমডেকর ও ফার্নিচার, ফার্মাসিউটিক্যাল ও আইসিটি খাতের ১০০টির বেশি প্রতিষ্ঠান, বহুজাতিক কোম্পানি, পাইকারি ব্যবসায়ী, সাপ্লাই চেইন প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন রপ্তানি বাজারের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীরা এ আয়োজনে অংশগ্রহণ করবেন, যা বাংলাদেশের উৎপাদক ও রপ্তানিকারকদের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে।

তিন দিনব্যাপী এই আয়োজনে থাকছে ১০টি বিশেষ সেমিনার, অনলাইন ও অফলাইন বিটুবি মিটিং, ১৫০টিরও বেশি স্টল, নেটওয়ার্কিং ডিনার ও ফ্যাশন শোসহ নানা আয়োজন।

গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপো বাংলাদেশের বৈচিত্র্যময় রপ্তানি খাতসহ অসংখ্য সম্ভাবনাময় শিল্পকে একটি আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে উপস্থাপন করবে। এ আয়োজন দেশের রপ্তানিকারকদের জন্য নতুন বাজার অনুসন্ধান, দীর্ঘমেয়াদি ব্যবসায়িক চুক্তি, আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারিত্ব এবং বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করার গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ তৈরি করবে।

প্রত্যাশা করা হচ্ছে, গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপো দেশের রপ্তানি খাতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে এবং বাংলাদেশকে একটি নির্ভরযোগ্য সোর্সিং হাব হিসেবে বিশ্বের সামনে আরও দৃঢ়ভাবে উপস্থাপন করবে।

(ওএস/এএস/নভেম্বর ২৭, ২০২৫)