গাকৃবিতে দীর্ঘমেয়াদি গবেষণা পরিকল্পনা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর : গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (গাকৃবি) অনুষ্ঠিত হলো দীর্ঘমেয়াদি গবেষণা পরিকল্পনা বিষয়ক কর্মশালা ২০২৫।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ ম্যানেজমেন্ট উইংয়ের উদ্যোগে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এ কর্মশালাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
তিন বছর মেয়াদি প্রতিটি গবেষণা প্রকল্প ভবিষ্যৎ কৃষিকে আরও পরিকল্পিত, উদ্ভাবনমুখী ও ফলপ্রসূ করার লক্ষ্যেই নেওয়া হয়েছে, যা দেশের কৃষি-ব্যবস্থাকে সমৃদ্ধ করতে
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। অধিকন্তু গবেষণা-অভিনবত্ব ও ভবিষ্যৎ কৃষি-উন্নয়নের ধারাকে সুসংহত করতে এই কর্মশালাকে বিশ্ববিদ্যালয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখছে।
দীর্ঘমেয়াদি এ কর্মশালার দুই দিনে আটটি থিমেটিক এরিয়াতে মোট ৩২টি গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. ময়নুল হক এবং ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ সফিউল ইসলাম আফ্রাদ। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন গাকৃবির পরিচালক (গবেষণা) প্রফেসর ড. মোঃ মসিউল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রকল্পের প্রধান ও সহকারী গবেষকবৃন্দ। সহযোগী পরিচালক (প্রজেক্ট গবেষণা) ডা. মোঃ সহিদুল ইসলাম অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে গবেষণা প্রকল্পের প্রধান গবেষকগণ তাঁদের নিজ নিজ প্রকল্পের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং কৃষিতে সম্ভাব্য প্রয়োগ ব্যাপ্তি নিয়ে অত্যন্ত প্রাণবন্ত ও তথ্যসমৃদ্ধ উপস্থাপনা করেন। পরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “ দীর্ঘমেয়াদি গবেষণা পরিকল্পনা গ্রহণের মাধ্যমে আমরা এমন একটি মজবুত ভিত্তি গড়ে তুলতে চলেছি যা আগামীর কৃষিকে প্রযুক্তিনির্ভর, উদ্ভাবনসমৃদ্ধ করে আরও টেকসই স্তরে উন্নীত করবে।”
উপাচার্য আরও বলেন, “এ কর্মশালা কেবল উপস্থাপনার জায়গা নয়, এটি হলো জ্ঞান বিনিময়, সমন্বিত পরিকল্পনা এবং নতুন সম্ভাবনা উদ্ভাবনের একটি উন্মুক্ত প্ল্যাটফর্ম। আমরা চাই গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় দেশের কৃষি গবেষণায় নেতৃত্ব দিক এবং সেজন্য প্রত্যেক গবেষকের উদ্যোগ, আন্তরিকতা ও দায়িত্ববোধ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।” শেষে সভাপতির সমাপনী বক্তব্যে ড. মসিউল ইসলাম বলেন, “গবেষণার সার্বিক উন্নয়ন এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাকে সুদৃঢ় করতে আমরা এই কর্মশালাকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ মনে করি। গবেষণার প্রতিটি ধাপ যেন আন্তর্জাতিক মান ধরে এগোতে পারে তা নিশ্চিত করাই আমাদের অন্যতম লক্ষ্য।”
(এসআর/এএস/নভেম্বর ২৭, ২০২৫)
