মমতা ঠাকুরকে মমতা ব্যানার্জি’র ‘এন্টি-হিন্দু’ রোগে ধরেছে
শিতাংশু গুহ
কলকাতায় মমতা ঠাকুর বলেছেন, কাশ্মীরী মুসলমান নিজের জীবন দিয়ে হিন্দুদের বাঁচিয়েছে। ইনি নুতন ইতিহাস আমদানি করছেন, তিনি নুতন যোগেন্দ্র মন্ডল হতে চাচ্ছেন। বাংলাদেশের মুসলমানরা মমতা ঠাকুরদের জীবন বাঁচায়নি বলেই কি তাঁরা ওড়াকান্দি ছেড়ে হিন্দু ভারতে ঠাঁই নিয়েছেন? যোগেন্দ্র মণ্ডলও নিতে বাধ্য হয়েছিলো, তাঁর ভুল ভেঙ্গেছিলো। স্বল্প কিছু মতুয়ার ভ্রান্তিবিলাস কবে ভাঙ্গবে কেজানে? মতুয়া-মুসলমান ঐক্য কখনো ছিলোনা, কখনো হবেনা।
মমতা ঠাকুরকে মনে হয় মমতা ব্যানার্জি’র ‘এন্টি-হিন্দু’ রোগে ধরেছে। তাই তিনি হিন্দুর মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে মতুয়াদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। এতই যদি মুসলিম প্রেম তাহলে বাংলাদেশ ছেড়ে আসলেন কেন? এতই যদি হিন্দু বিদ্বেষ তাহলে ভারতে না এসে পাকিস্তানে যেতেন? কলকাতায় নিরাপদে বসে মমতা ঠাকুর তাই শান্তনু’র বিরুদ্ধে হুঙ্কার ছেড়ে বলতে পারছেন যে, ‘মতুয়াদের হিন্দু বানানো হচ্ছে’। মতুয়ারা হিন্দু ছিলো, হিন্দু থাকবে, মাঝেমধ্যে মমতা ঠাকুররা রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির কারণে মতুয়াদের মধ্যে বিভেদ ছড়িয়ে মতুয়াদের ক্ষতি করেন।
ভারত ভাগের সময় যোগেন্দ্র মন্ডলের ভুল রাজনীতির কারণে বাংলাদেশে মতুয়ারা মুসলমানের দ্বারা নির্যাতিত হচ্ছেন। মতুয়াদের উচিত মমতা ঠাকুরদের বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়া, যাতে আর একবার এঁরা মুসলমানের ভালবাসা টের পেতে পারেন। একই সময়ে বাংলাপক্ষের একটি পোষ্টার নজরে এলো, তাতে লেখা, ‘মতুয়াদের নাম ভোটার লিষ্ট থেকে বাদ দিলে বাংলা জ্বলবে, বিজেপি সাবধান’। আমি বহুবার লিখেছি যে, বাংলাপক্ষ আসলে ‘মুসলিম-পক্ষ’, এদের কর্মকান্ড ‘এন্টি-হিন্দু’ -এদের থেকে সাবধান।
এদিকে সিপিএম নেত্রী বৃন্দা কারাত আবার হিন্দুদের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছেন। সদ্য তিনি ‘হিন্দুত্বের হিংসার মুখে নারী’ শিরোনামে একটি বই লিখেছেন। তিনি কিন্তু ‘ইসলামের হিংসার মুখে নারী’ অথবা ‘ধর্মীয় হিংসার মুখে নারী’ শীর্ষক কোন বই লিখবেন না, কারণ হিন্দুদের মাঝে নিরাপদে বসে ‘হিন্দুদের পশ্চাৎদেশে বাঁশ দেয়া সহজ, সবাই দেয়, মুসলমানদের নিয়ে লিখলে এতক্ষনে ওনার জীবন ‘অরক্ষিত’ হয়ে যেতো, ওনার বাড়ীঘরে আগুন লাগতো।
বৃন্দা কারাত জানেন, একমাত্র হিন্দু ধর্মেই নারী দেবী হিসাবে পূজিতা হ’ন, অন্য ধর্মে নন। আমি প্রায়শ: বলি, ‘ইসলামিষ্ট ও কমিউনিষ্ট একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ’। দুই গ্রূপই ‘এন্টি-হিন্দু’, ‘এন্টি-ভারত’, বাঙ্গালীর শত্রু, দেশের শত্রু। এদের বর্জন করুন। বৃন্দা কারাতরা হিন্দুর মাঝে বসেই হিন্দুর বিরোধিতা করে যাচ্ছেন, যাননা বাংলাদেশ বা পাকিস্তান, টের পাবেন ভারতে জন্ম হওয়ায় আপনি কতটা ভাগ্যবান। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে কমিউনিষ্টরা মৃতপ্রায়, ভারতে এদের মৃত্যুঘন্টা বেঁজে উঠুক।
লেখক : আমেরিকা প্রবাসী।
