স্পোর্টস ডেস্ক : চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে আইরিশদের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটিং ব্যর্থতার খেসারত দিয়েছে বাংলাদেশ। ১৮১ রানের টার্গেট তাড়ায় নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৪২ রানেই থেমেছে লিটন দাসের দল। ফলে ৩৯ রানের জয় নিয়ে সিরিজে এগিয়ে গেছে আয়ারল্যান্ড।

১৮২ রানের কঠিন লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসের শুরুতেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের টপ অর্ডার। ম্যাচের প্রথম তিন ব্যাটার তানজিদ হাসান তামিম (২), পারভেজ হোসেন ইমন (১) ও অধিনায়ক লিটন দাস (১) এক অঙ্কের রানে ফিরলে মাত্র ১২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ।

চতুর্থ উইকেটেও স্বস্তি মেলেনি। সাইফ হাসান ইনিংস গড়ার চেষ্টা করলেও ১৩ বল খেলে ৬ রান করে ফিরেন ম্যাকার্থির বলে।

এই ধ্বংসস্তূপের মাঝেও এক প্রান্ত আগলে রেখে ব্যাটিংয়ে জ্বলে ওঠেন তাওহীদ হৃদয়। ট্রেডমার্ক ব্যাটিংয়ে আক্রমণাত্মক স্ট্রোকপ্লে উপহার দেন তিনি। ৫০ বলের ঝড়ো ইনিংসে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় অপরাজিত ৮৩ রানে শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যান। তবে যোগ্য সঙ্গীর ঘাটতিই ম্যাচে বাংলাদেশকে পিছিয়ে দেয়।

তার সঙ্গে জাকের আলি অনিক কিছুটা লড়াই করেন। ১৬ বলের ২০ রানে একটি ছক্কা মারলেও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। তানজিম হাসান সাকিব করেন ৫ রান, রিশাদ হোসেন কোনো রান না করেই এলবিডব্লিউ হন হাম্প্রিসের বলে। শেষ দিকে নাসুম আহমেদ ও শরিফুল ইসলামও দলকে টেনে তুলতে ব্যর্থ হন।

বাংলাদেশ আসলে পুরো ম্যাচে হৃদয় ছাড়া আর কেউই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে পারেননি। দলীয় রান যখন বাড়ছিল না, উইকেট তখন নিয়মিত পড়ছিল। ফলে শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১৪২ রানে থেমে যায় ইনিংস।

আয়ারল্যান্ডের বোলাররা পুরো ইনিংসজুড়ে বাংলাদেশকে একচেটিয়া চাপে রেখেছেন। হাম্প্রিস ৪ ওভারে মাত্র ১৩ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন। আডায়ার শুরুতে দুর্দান্ত স্পেল করে ২ উইকেট তুলে নেন। ম্যাকার্থি নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৩ উইকেট নেন।

এর আগে টসে হেরে আগে ব্যাট করে আয়ারল্যান্ড ৪ উইকেটে ১৮১ রানের সংগ্রহ গড়েছিল। ব্যাটারদের নিয়ন্ত্রিত আগ্রাসন ও শেষদিকে বড় শট খেলে তারা চ্যালেঞ্জিং টোটাল দাঁড় করায়। বাংলাদেশের বোলাররা শুরুতে কিছুটা নিয়ন্ত্রিত থাকলেও শেষ ৬-৭ ওভারে আয়ারল্যান্ড তোলেন ৬০ রানের বেশি।

(ওএস/এএস/নভেম্বর ২৮, ২০২৫)