পাবনা-৩ আসনে প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে চাটমোহরে বিশাল মশাল মিছিল
চাটমোহর প্রতিনিধি : পাবনার চাটমোহর উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হাসাদুল ইসলাম হীরা বলেছেন, আমরা আজকেও শুনেছি আপনারা আমাদের লোকজনকে বাঁধার সৃষ্টি করেন। আপনাদের হুশিয়ার করে দিচ্ছি যদি ভদ্রভাবে থাকতে চান ভদ্রভাবে থাকুন। তা না হলে আগামীতে দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) রাতে পাবনা-৩ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী পরিবর্তন করে স্থানীয় প্রার্থীর দাবিতে আয়োজিত মশাল মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি একথা বলেন।
এর আগে চাটমোহর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে বিশাল মশাল মিছিল নিয়ে পৌর সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বালুচর খেলার মাঠে গিয়ে শেষ হয়।
সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন, পাবনা-৩ আসনের সাবেক এমপি ও চাটমোহর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কে এম আনোয়ারুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হাসাদুল ইসলাম হীরা, চাটমোহর পৌর বিএনপি'র সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম তাইজুল।
বক্তব্যকালে হাসাদুল ইসলাম হীরা বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর উদ্দেশ্যে বলেন, গত শনিবার আপনারা সারা বাংলাদেশ থেকে লোক নিয়ে এসেও পাঁচ ছয় হাজারের বেশি লোক জমায়েত করতে পারেননি। বালুচর মাঠে সমাবেশ করার কথা থাকলেও করতে ব্যর্থ হয়েছেন। আপনারা গিয়েছেন বাসস্ট্যান্ডে। যেখানে আজকে আমার মশালের সংখ্যা যত ছিল, সেদিন আপনার নেতাকর্মীর সংখ্যা তত ছিল। আপনাদের মনে রাখতে হবে পাবনা-৩ এর মানুষ আপনাদেরকে ধিক্কার জানিয়েছে, আপনাদের লাল কার্ড দেখিয়েছে। তাই বেশি আকাশে উড়বেন না, বেশি বড়াই করবেন না, কারন আপনারা বহিরাগত।
বক্তব্যকালে হাসাদুল ইসলাম হীরা বলেন, আমি সেন্ট্রাল নেতাদেরকে বলবো, এর আগেও বলেছি, বারংবার বলছি। আপনারা মাঠ জরিপ দেখুন। তৃণমূলে নেতাকর্মীদের অবস্থানের কথা বিবেচনা করুন। বহিরাগত প্রার্থীকে এখান থেকে প্রত্যাহার করে পাবনা- এর স্থানীয় সন্তানকে মনোনয়ন দিন। তা না হলে আগামীতে আরো কঠোর আন্দোলন ঘোষণা করা হবে। আমাদেরকে বাধ্য করবেন না, সারা বাংলাদেশ থেকে চাটমোহর কে যেন বিচ্ছিন্ন করতে না হয়। অনেক জায়গায় ট্রেন পথ বন্ধ করেছে, রাজপথ বন্ধ করেছে। আমরা ট্রেন পথ রাজপথ বন্ধ করে জনগণের ভোগান্তি বাড়াতে চাই না।
হীরা আরো বলেন, সেন্ট্রাল নেতারা যে ভুল করেছেন, আশা করি আমার প্রাণপ্রিয় নেতা জনাব তারেক রহমান সেই ভুল করবেন না, করতে পারেন না। তাকে অনুরোধ করবো আবারো তৃণসুলের মাঠ জরিপ করে দেখবেন। তা না হলে আমি আগেও বলেছি, বহিরাগত যে প্রার্থীকে ধানের শীষের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে সে আগামী নির্বাচনে জামায়াতের কাছে হেরে যাবে। তার দায়ভার সেন্ট্রাল নেতাদেরকেই বহন করতে হবে। যদি তাকে প্রত্যাহার না করেন তাহলে আমরা বাধ্য হবো স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে দাঁড়াতে।
পথ সমাবেশে সাবেক এমপি কে আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আমার বিএনপি থেকে কি বলা হয়েছিল। বলা হয়েছিল এমন একজনকে মনোনয়ন দেওয়া হবে যার এলাকায় জনপ্রিয়, মানুষের সাথে সুসম্পর্ক রাখে, যার জনসম্পৃক্ততা আছে, গ্রহণযোগ্যতা আছে। কিন্তু পাবনা-৩ আসনে যাকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে তিনি কি এলাকায় জনপ্রিয়? জনসম্পৃক্ত? না নাই। চাটমোহর ভাঙ্গুরা ফরিদপুরে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি আছে। আমরা চাই আমাদের এলাকা থেকে একজনকে মনোনয়ন দেবার জন্য। চাটমোহরে যদি কোন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ত্যাগী নেতা থাকেন তাকে মনোনয়ন দেয়া হোক। আজ চাটমোহর ভাঙ্গুরা ফরিদপুরে একই কথা। সবাই স্থানীয় প্রার্থী চায়। তাই আমরা বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদেরকে বারবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, আমাদের নেতা তারেক রহমানের কাছে চাই সবার শান্তির লক্ষ্যে আমাদের স্থানীয় মাটির সন্তানকে মনোনয়ন দেয়া হোক।
(এসএইচ/এসপি/নভেম্বর ২৮, ২০২৫)
