শিক্ষকদের কর্মবিরতিতে প্রাথমিকে বার্ষিক পরীক্ষা অনিশ্চিত
স্টাফ রিপোর্টার : সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা তিন দফা দাবি আদায়ে ১ ডিসেম্বর থেকে কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন। তবে বার্ষিক পরীক্ষা শুরুর ঠিক আগ মুহূর্তে এ কর্মসূচি না দেওয়ার অনুরোধ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
রবিবার (৩০ নভেম্বর) জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রণালয় জানায়, শিক্ষকদের সম্ভাব্য কর্মবিরতির বিষয়টি তারা সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর কাছ থেকে জানতে পেরেছে।
মন্ত্রণালয় জানায়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেডের সুবিধা দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডের দাবি যৌক্তিক মনে করে মন্ত্রণালয়। গত ১০ নভেম্বর অর্থ বিভাগের সচিবের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা ও শিক্ষক নেতাদের বৈঠকও হয়। সেখানে তিনটি প্রধান দাবি—সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে উন্নীতকরণ, চাকরির ১০ ও ১৬ বছর পর উচ্চতর গ্রেড পাওয়ার জটিলতা দূর করা এবং প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির বিষয়গুলো আলোচনায় উঠে আসে।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অর্থ মন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা, অর্থ উপদেষ্টা এবং বেতন কমিশনের সভাপতির সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে আলোচনা করা হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল উন্নীতকরণের বিষয়ে পে কমিশনে কাজ চলছে। কমিশনের প্রতিবেদন পাওয়ার পর অর্থ বিভাগ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বলে ১০ নভেম্বরের বৈঠকে মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়।
মন্ত্রণালয় বলছে, শিক্ষক নেতাদের উত্থাপিত দাবিগুলো বাস্তবায়নের ব্যাপারে সব পক্ষই সহানুভূতিশীল, এবং এ নিয়ে সক্রিয় যোগাযোগ অব্যাহত আছে।
এ অবস্থায় ১ ডিসেম্বর থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হওয়ায় কর্মবিরতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করে মন্ত্রণালয়। বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষার্থীদের কল্যাণ বিবেচনায় নিয়ে কর্মবিরতির মতো কর্মসূচি থেকে বিরত থাকার এবং সরকারি চাকরি আইন ও সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা পরিপন্থি কার্যক্রম না করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
(ওএস/এএস/ডিসেম্বর ০১, ২০২৫)
