শ্যামনগরে পরিবার কল্যাণ কর্মচারীদের কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি
রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরাধীন পরিবার কল্যাণ পরিদর্শক, পরিদর্শিকা ও সহকারীদের নিয়োগ বিধি ২০২৪ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।
বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা মাঠ কর্মচারী সমিতি শ্যামনগরের আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে উপজেলায় কর্মরত সকল কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন।
অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে তারা বলেন, আমরা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মূল চালিকাশক্তি, শতভাগ দম্পতি নিবন্ধন ও নিয়মিত বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান, মা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবা, (সার্বক্ষণিক/সপ্তাহে ৭ দিন ২৪ ঘণ্টা) সেবা প্রদান (গর্ভকালীন, নিরাপদ প্রসব, নবজাতক ও প্রসবোত্তর সেবা), কিশোর-কিশোরীদের প্রজনন স্বাস্থ্য সেবা, পুষ্টি সেবা, সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই)-তে দায়িত্ব পালন, কমিউনিটি ক্লিনিকে সেবা দানসহ স্বাস্থ্য বিষয়ক অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সেবা প্রদান করে থাকি। আমাদের কার্যক্রমে দেশের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, মা ও শিশু মৃত্যু হ্রাস পেয়েছে যা দেশে ও বহিঃবিশ্বে প্রশংসা অর্জন করেছে। অতীব দুঃখের বিষয় যে, আমাদের চাকুরী রাজস্বখাতভূক্ত কিন্তু নিয়োগবিধি নেই এবং পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকাদের বিদ্যমান নিয়োগবিধি সংশোধন হয়নি। বিধায় আমাদের বেতন গ্রেড উন্নীতকরণ, পদোন্নতিসহ চাকুরীগত অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত।
তারা আরও বলেন, নিয়োগ বিধি প্রণয়ন/সংশোধনের ফাইল অসম্পূর্ণ ও দীর্ঘ সূত্রতায় অধিদপ্তর থেকে প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় ও প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ হলেও কোয়েরীর নামে বছরের পর বছর ঘুরপাক খাচ্ছে। এভাবে কোয়েরী নামের জটিলতায় দীর্ঘ ২৬ বছর যাবৎ প্রস্তাবিত নিয়োগ বিধি বাস্তবায়ন হয়নি। আমাদের এক দফা, এক দাবি, প্রস্তাবিত নিয়োগ বিধি-২০২৪ অতি দ্রুত বাস্তবায়ন চাই।
কর্মসূচিগুলো হলো- মাসিক রিপোর্ট প্রদান বন্ধ, ২রা ডিসেম্বর থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পূর্ণ কর্ম বিরতি এবং স্ব-স্ব উপজেলা অফিসে অবস্থান, আসন্ন (০৬-১১ ডিসেম্বর) পরিবার পরিকল্পনা সেবা ও প্রচার সপ্তাহ বর্জন। এছাড়াও ন্যায্য ও যৌক্তিক দাবি নিয়োগ বিধি দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে আরও ধারাবাহিক কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে ঘোষণা দেন।
(আরকে/এসপি/ডিসেম্বর ০২, ২০২৫)
