অমর ডি কস্তা, নাটোর : স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরাধীন ৩টি গুরুত্বপূর্ণ পদে দীর্ঘ ২৬ বছরেও নিয়োগবিধি অনুমোদন বা বাস্তবায়ন না হওয়ায় আন্দোলনে নেমেছে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। 

সারাদেশে একযোগে টানা ১০ দিনের আন্দোলন কর্মসূচীর অংশ হিসেবে আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের সামনে নিয়োগবিধি বাস্তবায়নের দাবিতে কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচী পালন করছে উপজেলার সকল পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা, পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক ও পরিবার কল্যাণ সহকারীবৃন্দ। প্রথমদিনের কর্মসূচী চলাকালে বক্তব্য রাখেন, পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শিকা মমতাজ খাতুন, পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক মাহমুদুল হাসান ও আবুল হোসাইন, পরিবার কল্যাণ সহকারী শেফালী আক্তার প্রমূখ।

বক্তারা এ সময় বলেন, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের এই ৩ পদ ছাড়া সকল পদে নিয়োগবিধি আছে। দীর্ঘ ২৬ বছরেও এই ৩ পদে নিয়োগবিধি চূড়ান্ত হয় নাই। এটা খুবই দুঃখজনক ও আমাদের জন্য হতাশাজনক। এ নিয়োগবিধি অনুমোদন ও বাস্তবায়ন হলে আমাদের বেতন গ্রেড উন্নীতকরণ, পদোন্নতি সহ চাকরির অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্তিতে সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং অধিদপ্তরের মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনায় সুশাসন প্রতিষ্ঠা হবে। এ দাবী আদায়ের লক্ষ্যে আমরা দীর্ঘ বছর ধরে ঢাকায় গিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে, শহীদ মিনারের সামনে, মন্ত্রণালয় সহ বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করে এসেছি।

আন্দোলন চলাকালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা আশ্বাস দিলেও তা আদৌ বাস্তবায়ন হয়নি। আমরা এ নিয়োগবিধির দ্রুত অনুমোদন ও বাস্তবায়ন দাবি করছি।

বক্তারা আরও বলেন, আমরা সারাদেশে ৩৩ হাজার ৭১০ জন কর্মরত রয়েছি। আমরা জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে পরিবার পরিকল্পনা সেবা, শতভাগ দম্পতি নিবন্ধন, প্রসূতি স্বাস্থ্যসেবা, কিশোর-কিশোরীদের প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা, পুষ্টিসেবা, টিকাদান কর্মসূচীসহ নিয়মিত বাড়ি বাড়ি গিয়ে নানা গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে আসছি। আমাদের চাকরি রাজস্ব খাতভুক্ত। কিন্তু নিয়োগবিধি না থাকায় পুরো কর্মজীবনে আমরা কোনো পদোন্নতি পাচ্ছি না। আবার পরিবার কল্যাণ সহকারীরা তৃতীয় শ্রেণীর চাকরীতে ঢুকলেও বেতন পান চতুর্থ শ্রেণীর। যা অন্যায্যতা ও চরমতম বৈষম্য। আমরা এসব অন্যায্যতা ও বৈষম্যের অবসান চাই।

আগামী ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে নিয়োগবিধি বাস্তবায়নের দাবি পূরণ না হলে আরও বৃহত্তর ও কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা সহ আসন্ন জাতীয় পরিবার পরিকল্পনা সেবা ও প্রচার সপ্তাহ বর্জন করারও ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা।

(এডিকে/এসপি/ডিসেম্বর ০২, ২০২৫)