নাটোর থেকে রামু সেনানিবাসে ফেরার পথে ট্রাকের ধাক্কায় সেনা সার্জেন্ট নিহত
অমর ডি কস্তা, নাটোর : মাত্র ১০ দিনের ছুটিতে বাড়িতে এসেছিলেন সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট মামুনুর রশিদ (৩৬)। গ্রামের বাড়িতেই থাকতো স্ত্রী খুশি খাতুন, একমাত্র সন্তান ৭ বছর বয়সী ছেলে হামিম আহমেদ ও বাবা-মা। ছুটি শেষ হলে পরিবারের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে কর্মস্থল কক্সবাজারের রামু সেনানিবাসে ফেরার সময় পথিমধ্যে দুর্ঘটনায় মর্মান্তিক মৃত্যু হলো তার। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে নাটোরের বড়াইগ্রামের বাহিমালী এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় নিহত হন তিনি। নিহত ওই সার্জেন্টের নাম মামুনুর রশিদ (৩৬)। সে নাটোরের লালপুর উপজেলার ওয়ালিয়া ইউনিয়নের বড় ময়না গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে।
পরিবারের সদস্যরা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সেনা সার্জেন্ট মামুনুর রশিদ সন্ধ্যার দিকে পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে কক্সবাজারের বাসে উঠার জন্য বড়াইগ্রামের বনপাড়া বাসস্ট্যান্ডের দিকে ইজিবাইকযোগে রওনা দেন। তিনি ইজিবাইকের সামনের সীটে বাঁ দিকে বসেছিলেন। পথিমধ্যে লালপুর-বনপাড়া আঞ্চলিক সড়কের বাহিমালী এলাকা পৌঁছালে বিপরীতদিকে থেকে আসা অজ্ঞাত একটি ট্রাকের বডির সাথে তার মাথা আঘাতপ্রাপ্ত হয়। এতে তিনি ইজিবাইক থেকে সড়কে পড়ে যান এবং গুরুতর আহত হন। তাকে দ্রুত বনপাড়া পাটোয়ারী হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে কিছুক্ষণপর তার মৃত্যু হয়।
বনপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক সুমন চন্দ্র দাস ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এ ব্যাপারে পুলিশ সুপারের মাধ্যমে রামু সেনানিবাসে বার্তা প্রেরণ করা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় আইনগত দিকগুলো মেনে নাটোরের কাদিরাবাদ সেনানিবাসের কাছে মৃতদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখান থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিজস্ব নিয়ম অনুযায়ী আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে সেনা সার্জেন্ট মামুনুর রশিদের মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে।
পুলিশ পরিদর্শক আরও জানান, এ ব্যাপারে থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে এবং ঘাতক ট্রাকটি চিহ্নিত করে চালককে আটক করার চেষ্টা চলছে।
(এডিসি/এএস/ডিসেম্বর ০৩, ২০২৫)
