রূপক মুখার্জি, নড়াইল : নড়াইলের লোহাগড়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের চাকুরীচ্যুত প্রধান শিক্ষক আ: রহিম খানের বিরুদ্ধে ২ লক্ষ টাকার চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করলেন ইউএনও মো: আবু রিয়াদ।

বুধবার রাতে তিনি নিজে বাদী হয়ে চাকুরীচ্যুত প্রধান শিক্ষক আ: রহিম খানসহ আরও অজ্ঞাত ৩/৪ জনকে আসামী করে লোহাগড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

এর আগে বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে ইউএনও আবু রিয়াদের নির্দেশে লোহাগড়া থানা পুলিশ চাকুরীচ্যুত প্রধান শিক্ষক আ: রহিম খানকে (৫০) তার আতোষপাড়া গ্রামের বাড়ি থেকে আটক করে ইউএনও'র কার্যালয়ে নিয়ে আসেন এবং উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক, সূধীজন ও গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতিতে হলরুমে সৃষ্ট বিষয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে অভিযুক্ত আ: রহিম খানকে লোহাগড়া থানায় সোপর্দ করে একটি মামলা দায়ের করেন।

অভিযুক্ত আ: রহিম খান মল্লিকপুর ইউনিয়নের আতোষপাড়া গ্রামের মৃত মঞ্জেল খানের ছেলে। ২০২৪ সালের শুরুর দিকে লোহাগড়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে তিনি চাকুরীচুত্য হয়েছিলেন।

দায়েরকৃত মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে যে, গত ১লা ডিসেম্বর লোহাগড়ার ইউএনও মো: আবু রিয়াদ অফিস শেষে ডাক বাংলোয় যাওয়ার পথে অভিযুক্ত আ: রহিম খানসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন আসামীরা ইউএনও'র গাড়ীর গতিরোধ করে প্রভাবশালী ব্যক্তি পরিচয় দিয়ে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। এ সময় ইউএনও চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানায় এবং কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে পথচারীরা এগিয়ে আসলে আসামীরা হুমকি ধামকি দিয়ে এলাকা ত্যাগ করে।

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়েছে , আসামী আ: রহিম খান ইউএনও'র ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে বিভিন্ন সময়ে টাকা চেয়ে এবং সাড়ে হারামজাদা সে-ই নামে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ কবিতা প্রেরণ করেছে এবং তা বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে প্রকাশ করে ইউএনও'র সম্মানহানি করা হয়েছে। ইউএনও অফিসের আমানত হোসেন ও শরিফুল ইসলামকে মামলার স্বাক্ষী করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে মোঃ আবু রিয়াদ গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর লোহাগড়ায় যোগদান করেন। সম্প্রতি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে তাকে বাগেরহাট জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে পদায়ন করে বদলী করা হয়েছে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।

(আরএম/এএস/ডিসেম্বর ০৪, ২০২৫)