গোপালগঞ্জ  প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জে দরপত্র বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি টিনসেড ঘর বিক্রির অভিযোগ উঠেছে  প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।  এ ঘটনায় শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভের হয়েছে।

কোটালীপাড়া উপজেলার ১৮নং জহরের কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহাদাৎ হোসেন হাওলাদার সম্প্রতি দরপত্র ছাড়া ছাড়াই বিদ্যালয়ের একটি টিনসেড বিক্রি করে দেন। ওই গ্রামের ভাঙ্গারী ব্যবসায়ীর কাছে এটি বিক্রির পর তিনি সেটি ভেঙ্গে নিয়েছেন। বিদ্যালয়ের টিনসেড ঘর বিক্রির টাকা প্রধান শিক্ষক আত্মসাৎ করেছে বলে নাম প্রকাশ না করা শর্তে ওই গ্রামের অনেকে জানিয়েছে।

এলাকার সমাজসেবক অশোক বিশ্বাস বলেন, সরকারি বিধি অমান্য করে প্রধান শিক্ষক শাহাদাৎ হোসেন হাওলাদার বিদ্যালয়ের টিনসেড ঘর বিক্রি করে দিয়েছেন। আমরা এলাকাবাসী চেয়েছিলাম টিনসেডটি কিনে বিদ্যালয়ের পাশের মন্দিরের কাজে ব্যবহার করব। কিন্তু প্রধান শিক্ষক টাকা আত্মসাৎ করার জন্য আমাদের কাছে বিক্রি না করে তার পছন্দের এক ভাঙ্গারী ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করেছেন।

বিদ্যালয়টির অফিস সহকারী সমর অধিকারী বলেন, শুনেছি প্রধান শিক্ষক শাহাদাৎ হোসেন হাওলাদার উপজেলা থেকে টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি দিয়েই টিনসেড ঘরটি বিক্রি করেছেন। বিক্রির টাকা প্রধান শিক্ষকের কাছেই রয়েছে । তবে কত টাকা বিক্রি করছেন তিনি তা বলেননি।

১৮নং জহরের কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক শাহাদাৎ হোসেন হাওলাদার বলেন, বিদ্যালয়ের টিনসেড ঘরটি পরিত্যাক্ত হয়ে পড়ে ছিল। ঘরের টিন কাঠ চুরি হয়ে যাচ্ছিল। তাই টেন্ডার ছাড়াই উপজেলা শিক্ষা অফিস ও এলাকাবাসীকে জানিয়ে ১০ হাজার টাকায় এক ভাঙ্গারী ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে দিয়েছি। এই ঘর বিক্রির টাকা আমার কাছে আছে। এ টাকা দিয়ে বিদ্যালয়ের উন্নয়নে কাজ করবো।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার শেখর রঞ্জন ভক্ত বলেন, ১৮নং জহরের কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহাদাৎ হোসেন হাওলাদার একটি টিনসেট ঘর বিক্রি করবে বলে আমাকে জানিয়েছিল। কিন্তু আমি তাকে বিক্রি করতে বলিনি।সরকারি স্থাপনা বিক্রি করতে বেশ কিছু নীতিমালা রয়েছে। এছাড়া এটি বিক্রি করতে দরপত্র আহবান করতে হয়। এসব না করে সে যদি টিনসেড ঘরটি বিক্রি করে থাকে, তাহলে তার বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(টিবি/এএস/ডিসেম্বর ০৪, ২০২৫)