রিপন মারমা, কাপ্তাই : তিন পার্বত্য জেলায় হাজারো পুণ্যার্থীর অংশগ্রহণে রাঙ্গামাটি কাপ্তাইয়ে ঐতিহ্যবাহী চিৎমরম বৌদ্ধ বিহার মাঠ প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদ ও (বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী) উপাসক-উপাসিকা সম্মিলিত উদ্যোগে এই প্রথম এক বিশাল পরিসরে দুইদিনব্যাপী অষ্টপরিষ্কার দান ও মহাসংঘদান সম্পন্ন হয়। 

শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল ৮টায় অষ্টপরিষ্কার দান ও মহাসংঘদান শেষে অনুষ্ঠিত হয় পুণ্যার্থীদের বিশেষ পর্ব।

এ অংশে সঞ্চালনা করেন, অষ্টপরিষ্কার দান সহ মহাসংঘদান উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব থুইশিহ্লা মারমা পলাশ, এবং সভাপতিত্ব করেন, মহাসংঘদান উদযাপন কমিটি আহবায়ক উথোয়াই মং মারমা। এতে প্রধান পুণ্যার্থী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন—রাঙ্গামাটি পার্বত্য ২৯৯নং সংসদীয় আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটি ধর্ম বিষয়ক সহ সম্পাদক এ্যাড. দীপেন দেওয়ান।

বিশেষ পুণ্যার্থী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন—বান্দরবান পার্বত্য ৩০০নং সংসদীয় আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আহবায়ক ও বান্দরবান জেলা বিএনপি আহবায়ক সাচিংপ্রু জেরী,বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান থোয়াইচ: প্রু মাষ্টার,খাগড়াছড়ি জেলা বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদ সভাপতি কংচাইরী মাষ্টার, রাঙ্গামাটি জেলা বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদ সভাপতি সাজাই মং মারমা,বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদ প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ম্রাসাথোয়াই মারমা, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বৌদ্ধ ঐক্য ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি লুসাইমং, বান্দরবান পার্বত্য জেলা উৎসব উদযাপন কমিটির সভাপতি চনুমং মারমা। অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি কামনায় বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। দুইদিনব্যাপী এ আয়োজনকে ঘিরে তিন পার্বত্য জেলার মারমা সম্প্রদায়ের হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে বিহার প্রাঙ্গণ উৎসবমুখর হয়ে ওঠে। এর আগে, শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বৌদ্ধ বিহার মাঠ প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদে

আয়োজিত এই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে ছিল নানা ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান সন্ধ্যায় বৌদ্ধ বিহার মাঠে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের পরিচিতি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, রাঙ্গামাটি জেলা বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদ সভাপতি সাজাই মং মারমা এবং সঞ্চালনা করেন, রাঙামাটি জেলা বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদ সাধারণ সম্পাদক উথোয়াই মং মারমা।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন— বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদ প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ম্রাসাথোয়াই মারমা।

এই মহতী ধর্মীয় আয়োজনে পার্বত্য তিন জেলা ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা প্রায় হাজারো পুণ্যার্থী ও ভক্তের সমাগম ঘটে, যা এক অভূতপূর্ব ধর্মীয় মহামিলনের সৃষ্টি করে।

(আরএম/এএস/ডিসেম্বর ০৬, ২০২৫)