বিকাশ স্বর্ণকার, সোনাতলা : বগুড়া সোনাতলায় শীতের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে ব্যস্ততাও বেড়েছে লেপ-তোশক তৈরির কারিগরদের। বছরের অন্য সময়ে কাজ বেশি না থাকায় খানিকটা অলস সময় পার করতেন তারা। তবে শীত মৌসুম এলেই দৃশ্যপট পাল্টে যায়। ব্যস্ততা বেড়ে যায় এই শিল্পের কারিগরদের। ফলে এসময়ে আয় উপার্জনও ভালো হয়।  অগ্ৰহায়ন মাসের প্রথম সপ্তাহে পর থেকে শীত জেঁকে বসতে শুরু করেছে। জানা গেছে,শীের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম অঞ্চলের বাজারগুলোতে লেপ-তোশক তৈরির ধুম পড়েছে। ক্রেতারাও ভিড় জমাতে শুরু করছেন দোকানগুলোতে। গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী লেপ-তোশক তৈরিতে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা।

সরেজমিনে পৌর শহর,কলেজ স্টেশনে, পাকুল্লা, বালুয়াহাট, বড়িয়াহাটসহ ছোট বড় লেপ-তোশক তৈরির বিভিন্ন দোকানে গিয়ে দেখা যায়, মালিক-শ্রমিক, ধুনাইকাররা এখন তুলাধুনা ও সেলাইয়ের কাজে বেশ মনোযোগী। তবে অনেকেই তাদের মালামাল বুঝে নিয়ে যাচ্ছেন কেউ আবার কেউ লেপ-তোশকের অর্ডার দিয়ে যাচ্ছেন। কেউ বা আবার রেডিমেড তৈরি করা লেপ কিনে নিয়ে বাড়ি যাচ্ছেন। ধনক কারিগর আজিবর রহমান বলেন,দিন যতই গড়াচ্ছে শীতের তীব্রতা ততই বাড়ছে। শীতের তীব্রতা আরও বৃদ্ধির আশঙ্কায় উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন গ্রামের মানুষ নতুন নতুন লেপ তৈরি করে নিয়ে যাচ্ছে। বছরের অন্যান্য সময় বেচাকেনা কম হলেও শীত মৌসুমে বিক্রি কয়েকগুণ বেড়ে যায়। প্রতিদিন গড়ে ১৫-২০টি লেপ তৈরির অর্ডার পাচ্ছেন বলে জানান একজন দোকানী জানান।

লেপ-তোশক ব্যবসায়ী জাহিদুল ইসলাম বলেন, এ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে প্রচুর লেপ-তোশক তৈরির অর্ডার পাচ্ছি।কাজ সামাল দিতে অতিরিক্ত কারিগর রেখে দিয়েছি। চেষ্টা করছি সঠিক সময়ে গ্রাহকদের কাছে পণ্য ডেলিভারি দিতে পারবো। অর্ডার নেয়ার পাশাপাশি অগ্রিম কিছু লেপ, বালিশ, তোষক বানিয়ে রেখেছি। ক্রেতাদের কাছে এসব রেডিমেট হিসেবে বিক্রি করি।দোকানীর ইসমাইল হোসেন এর কাছ থেকে জানাযায়,তুলা গোলাপী-৬০, মিষ্টি-৬০, এ্যাশ-৭০, কালো-৮০ ও ফাইবার তুলা প্রতি কেজি -১৮০টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও প্রতি পিস বালিশের মজুরি ৫০টাকা, লেপ ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায়,তোশক ৪০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা করে নেয়া হচ্ছে। কারিগর মিজানুর রহমান বলেন,কাজের চাপ বাড়ায় আমাদের কদর বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন প্রতিদিন গড়ে হাজার টাকা মজুরি পাচ্ছি। শীতের তীব্রতার সাথে মজুরিও বাড়বে। মোস্তফা কামাল নামের দোকানী জানান বর্তমানে বড় সাইজের তুলার লেপের দাম ২০০০ থেকে ২১০০ টাকা, আর তোশকের দাম পড়ছে ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা।

(বিএস/এএস/ডিসেম্বর ০৭, ২০২৫)