স্পোর্টস ডেস্ক : নেইমারের মাঠে ফেরার পর যেন বদলে গেল সান্তোস। টানা তিন ম্যাচে জ্বলে উঠলেন তিনি। আগের দুই ম্যাচে গোল, একটিতে হ্যাটট্রিক; শেষ ম্যাচে গোল না পেলেও খেলার ছন্দ পুরো নিয়ন্ত্রণে রেখেছিলেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। আর তার পথ ধরেই ব্রাজিল সেরি আ শেষ করল সান্তোস দুর্দান্ত এক জয় দিয়ে।

মৌসুমের শেষ লিগ ম্যাচে ক্রুজেইরোকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে সান্তোস। ম্যাচ শুরুর আগে নেইমারের জন্য ছিল ছোট একটি সম্মাননা অনুষ্ঠান। শৈশবের ক্লাবটির হয়ে ১৫০ ম্যাচ পূর্ণ করায় তাকে দেওয়া হয় বিশেষ স্মারক। পাশে ছিলেন তার স্ত্রী, সন্তান ও পরিবারের সদস্যরা। এরপর মাঠেও খেললেন প্রাণবন্ত ফুটবল, দলের জয়ে রাখলেন বড় ভূমিকা।

তিন ম্যাচ আগেও অবনমনের ভয় ছিল সান্তোসের সামনে। ঠিক সেই সময় হাঁটুর ব্যথা নিয়েই ম্যাচে নেমেছিলেন নেইমার। প্রতিটি ম্যাচে দলকে বাঁচাতে অবদান রেখেছেন তিনি। আগের ম্যাচে করেন দুর্দান্ত হ্যাটট্রিক, তার আগের ম্যাচেও গোল। শেষ ম্যাচে গোল না পেলেও আক্রমণ সাজানো ও সুযোগ তৈরি করে দলের ৩-০ ব্যবধানে জয়ে বড় ভূমিকা রাখলেন তিনি।

সৌদি ক্লাব আল হিলালে চোটে ভরা সময় কাটানোর পর জানুয়ারিতে সান্তোসে ফিরে নিজের ছন্দ খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করছিলেন নেইমার। কিন্তু এখানেও বারবার চোট তাকে ছিটকে দিয়েছে। পুরো মৌসুমে খেলতে পেরেছেন ১৯ ম্যাচ, গোল করেছেন ৮টি। বিতর্কও এসেছে মাঝেমধ্যে।

তবে শেষ তিন ম্যাচে দলের টিকে থাকার লড়াইয়ে নেইমারের অবদান ছিল সবচেয়ে বড়। তাই শেষে এসে স্বস্তি নিয়েই বললেন, এবার প্রয়োজন বিশ্রাম ও অস্ত্রোপচার।

নেইমারের ভাষায়, ‘এই কয়েকটা সপ্তাহ ছিল ভীষণ কঠিন। চোট থাকলেও আমি নামতে চেয়েছি মাঠে, কারণ দলকে সাহায্য করতে চেয়েছি। যারা পাশে ছিলেন, তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। এখন কিছুদিন বিশ্রাম চাই। এরপর হাঁটুর অস্ত্রোপচার করাব।’

হাঁটুর সমস্যার ধরন বা অস্ত্রোপচারের বিস্তারিত জানা না গেলেও সময়টা মোটেই সুখকর নয় নেইমারের জন্য। সামনে বিশ্বকাপ, আর অস্ত্রোপচারের মানে দীর্ঘ পুনর্বাসন।

ব্রাজিল কোচ কার্লো আনচেলত্তি আগেই জানিয়েছিলেন, ফিট হলে তবেই দলে জায়গা হবে নেইমারের। তাই তার পুনর্বাসনের সময়টা বিশ্বকাপের সম্ভাবনায় বড় প্রশ্নচিহ্ন ছুঁড়ে দিচ্ছে। তবে নেইমার আশাবাদী। বলেছেন, বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন এখনও দেখেন।

(ওএস/এএস/ডিসেম্বর ০৮, ২০২৫)