রিয়াজুল রিয়াজ, বিশেষ প্রতিনিধি : ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলায় আট বছরে এক কন্যাশিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মসজিদের ইমাম মো. মোজাম্মেল হক (২২) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

এর আগে তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতায় রবিবার (৭ ডিসেম্বর) দিবাগত মধ্যরাতে, ঘটনার পর পলাতক ওই ইমামকে রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

ধর্ষক মো. মোজাম্মেল হকের বাড়ি নেত্রকোনা জেলার কালিকাপুর গ্রামে বলে জানা গেছে। তিনি চরভদ্রাসনের উত্তর আলম নগর মধু সিকদারের ডাঙ্গী এলাকার মোল্লাবাড়ি জামে মসজিদের ইমাম হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

সোমবার (৮ ডিসেম্বর) গ্রেপ্তারকৃত ইমাম মোজাম্মেল হককে আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

চরভদ্রাসন থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ রফিকুজ্জামান কন্যাশিশুটির ধর্ষক ও স্থানীয় মসজিদের ইমাম মো. মোজাম্মেল হকের গ্রেপ্তার ও তাকে আদালতে সোপর্দের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

শিশুটির পরিবার ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৪ ডিসেম্বর ভোরে কন্যাশিশুটি স্থানীয় উত্তর আলম নগর মধুসিকদারের ডাঙ্গী এলাকার মোল্লাবাড়ি জামে মসজিদে আরবি পড়তে গিয়েছিল। এ সময় মসজিদের ইমাম মো. মোজাম্মেল হক শিশুটিকে সুকৌশলে আটকে রেখে মসজিদের দরজা বন্ধ করে টাকা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে মসজিদের ভেতরেই শিশুটির ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করেন। ঘটনার পর ধর্ষক মোজাম্মেল হক শিশুটিকে ভয় দেখিয়ে বিষয়টি গোপন রাখতে বলেন। কিন্তু শিশুটি বাড়িতে গিয়ে তার মাকে ঘটনাটি খুলে বলেন। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়ভাবে ঘটনাটি মীমাংসার চেষ্টা করা হয়। তবে, শেষপর্যন্ত মীমাাংসা না হওয়ায় ৫ ডিসেম্বর শিশুটির মা বাদি হয়ে ধর্ষক মোজাম্মেল হককে আসামি করে চরভদ্রাসন থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ইতিমধ্যে ইমাম মোজাম্মেল মসজিদ থেকে পালিয়ে যান। মামলার পরপরই অভিযুক্ত ইমামকে গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে পুলিশ। অতঃপর দুই দিনের মধ্যে তাকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় চরভদ্রাসন থানা পুলিশ।

(আরআর/এএস/ডিসেম্বর ০৯, ২০২৫)