দীপক চন্দ্র পাল, ধামরাই :  স্থানীয় এক এনজিও থেকে ৮০ জাজার টাকা লোন নিয়ে লাউ বাগান করে সাবলম্বী হতে চেয়ে ছিল ধামরাইয়ের কৃষক আনোয়ার।ভাগ্যের নির্মম পরিহাস,কোন হিংসায় মত্ত হয়ে দূর্বিত্তরা ক্ষেতের সকল লাউ গাছ রাতের আধারে কেটে টুকরো টুকরো করে পুরো ক্ষেত নষ্ট করে দিয়ে আনোয়ারের সমস্ত স্বপ্ন তছনচ করে দিয়েছে। এখন কৃষক আনোয়ারের মাথায় হাত। এ কেমন শত্রুতা? এখন ওই বৃষক দেনার বোঝা মাথায় নিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছে কৃষক আরনায়ার ও তার স্ত্রী।তাদের কান্নায় এলাকার বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে।

ঢাকার ধামরাইয়ে প্রতি দিনের মত লাউ বাগান ক্ষেতে ভোর বেলায় ঘুম থেকে উঠে খেত পরিচর্চা করকে হিয়ে দেখেন একটি লাউ গাছও কাজা নেই। সব গাছ রাতের আঁধারে দুর্বৃত্তরা কেটে টুকরো টুকরো করে রেখে গেছে আনোয়ার হোসেন নামে এক কৃষকের এক বিঘা জমির লাউ গাছ । এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ওই কৃষক পরিবারটি।
একটি এনজিও থেকে থেকে ৮০ হাজার টাকা লোন নিয়ে লাউ চাষ করেছিলেন ওই কৃষক পরিবারটি। কিন্তু রাতের আঁধারে লাউয়ের জমির এমন পরিণতি দেখে ভেঙে পড়েছেন কৃষক আনোয়ার হোসেন ও তার স্ত্রী।

এনজিওর দেনা পরিশোধ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা। এমন ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাতে আধারে ধামরাই উপজেলার কুল্লা ইউনিয়নের চর বরদাইল গ্রামে।

সরেজমিনে জানা যায়, রোববার সকালে চর বরদাইল এলাকার কৃষক আনোয়ার হোসেন ও তার স্ত্রী তাদের ২০ শতাংশ জমিতে রোপনকৃত লাউ গাছ কাটা দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েনে।

কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, সকালে এসে দেখি লাউ গাছের গোড়া কাটা, ভিতরে কিছু লাউ নেই। এরপর রোদ উঠতেই মাচার লাউ গাছ আস্তে আস্তে নুইয়ে পড়ে। এনজিও থেকে ৮০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে ২০ শতাংশ জমিতে লাউয়ের চাষ করেছিলাম। ফলনও হয়েছিল বেশ ভালো। সেই ভালো ফলনই যেন কাল হলো। রাতের আঁধারে সব লাউ গাছ কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। এখন কী করে এনজিওর ঋণের টাকা পরিশোধ করব আর কী করেই বা পরিবার চালাব। আমাদের স্বপ্ন সব ভেঙে গেছে।

আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী কান্না জড়িত কন্ঠে জানান, নিজের হাতের পরিচর্য়ায় গত তিন মাসে লাউ গাছগুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। লাউ ধরেছে অনেক। কোন শত্রুতার কারণে আমাদের কষ্টে ফলানো লাউ গাছগুলো কেটে এতো ক্ষতি করলো বুঝতে পারছি না। প্রতি সপ্তাহে ২২০০ টাকা এনজিওর কিস্তি দিতে হয়। এখন কী করবেন এই ভেবে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।

প্রতিবেশী কৃষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, রাতের আধারে এমন ঘটনায় আমরাও চিন্তিত। এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা যাতে আর কোথাও না ঘটে। আমাদেরও জমি রয়েছে কখন ক্ষতি করে বসে দুর্বৃত্তরা।

ধামরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরিফুর রহমান বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রæত আইনের আওতায় আনা জরুরি বলেন। এ ধরনের ঘটনায় কৃষকদের ক্ষতিপূরণের কোনো ব্যবস্থা না থাকলেও ক্ষতিগ্রস্ত্র কৃষককে পরবর্তীতে প্রণোদনার আওতায় নিয়ে আসা হবে। যাতে করে তিনি কিছুটা হলেও তার ক্ষতি পোষাতে পারে। তবে এ বিষয়ে ভুক্তভোগী কৃষক আনোয়ার হোসেন থানায় আজো কোনো অভিযোগ করেননি।

(ডিসিপি/এএস/ডিসেম্বর ০৯, ২০২৫)