চিৎমরমে উথোয়াইমং মারমার প্রচেষ্টায় অষ্টপরিস্কার ও সংঘদান সম্পন্ন
রিপন মারমা, রাঙ্গামাটি : পার্বত্য জনপদের ঐতিহ্য আর সংস্কৃতিকে সমুন্নত রেখে রাঙ্গামাটি কাপ্তাইয়ে সুপ্রাচীন চিৎমরম বৌদ্ধ বিহারে গত দুই দিন আগে অত্যন্ত সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে ঐতিহ্যবাহী অষ্টপরিস্কার দান ও সংঘদান মহতী অনুষ্ঠান।
বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত এই বিশাল এবং ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ আয়োজনটি সুচারুভাবে সম্পন্ন হওয়ার পিছনে ছিলেন মারমা সমাজের বিশিষ্ট তরুণ নেতা ও রাঙ্গামাটি জেলা বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদ সাধারণ সম্পাদক উথোয়াইমং মারমা।
অনুষ্ঠানে আয়োজক কমিটি ও উপাসক-উপাসিকা এবংস্থানীয় প্রবীণদের পরামর্শ মতে চিৎমরম বিহারের এই বার্ষিক পুণ্যোৎসবকে জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরতে এবং এর শৃঙ্খলা বজায় রাখতে উথোয়াইমং মারমা'র ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য। বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের একজন অন্যতম একজন নেতা হিসেবে তিনি এই আয়োজনের মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছেন। এই পুণ্যময় অনুষ্ঠানে দূর-দূরান্ত থেকে আগত পূজনীয় ভিক্ষুসংঘের আবাসন, হাজারো ভক্তদের শৃঙ্খলা রক্ষা এবং পুরো আয়োজনের লজিস্টিক সাপোর্টের ক্ষেত্রে তিনি নিরলসভাবে সমন্বয়কের কাজ করেছেন। মারমা ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে তিনি শুধু মারমা জনগোষ্ঠী নয়, অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর ভক্তদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দিয়েছেন।
বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে ও উৎসাহ তরুণ সমাজকে এই ধরনের ধর্মীয় ও সামাজিক কাজে আরও বেশি যুক্ত হতে অনুপ্রাণিত করেছে। উথোয়াইমং মারমা বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ছাড়া এত বড় একটি আয়োজনকে এত নিখুঁতভাবে সম্পন্ন করা অসম্ভব ছিল। তাঁর প্রজ্ঞা এবং পরিশ্রমই এই অষ্টপরিস্কার ও সংঘদানকে সফল করেছে।
চিৎমরম স্থানীয় বাসিন্দা উহ্লাচিং মারমা জানান, উথোয়াইমং মারমা শুধুমাত্র একজন নেতা নন, তিনি আমাদের সমাজের সংস্কৃতি ও ধর্মের প্রতি অত্যন্ত নিবেদিতপ্রাণ। তাঁর এই অবদান চিৎমরম বিহারের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
পুণ্যার্থীরা আশা করছেন, বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের এই ধরনের উদ্যোগ ভবিষ্যতেও পার্বত্য চট্টগ্রামের ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। তাঁর এই নিরলস প্রচেষ্টার ফলস্বরূপ, এবারের অষ্টপরিস্কার দান ও সংঘদান অনুষ্ঠানটি কেবল মারমা সমাজেই নয়, পুরো পার্বত্য অঞ্চলে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে।
(আরএম/এসপি/ডিসেম্বর ১০, ২০২৫)
