রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরার দেবহাটা এলাকায় দ্বিতীয় শ্রেণীর (৮) এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ষাটোর্ধ্ব এক বৃদ্ধের বিরুদ্ধে। বর্তমানে ওই শিক্ষার্থী সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার টাউন শ্রীপুর ইউনিয়নের চর রহিমপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। এদিকে ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে ওই বৃদ্ধ। অভিযুক্ত বৃদ্ধের নাম মানিক গাজী (৬৫)। সে দেবহাটা উপজেলার চর রহিমপুর গ্রামের বাসিন্দা। নির্যাতিতা ওই শিক্ষার্থী একই এলাকার বাসিন্দা ও টাউন শ্রীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী।

নির্যাতিতা ওই শিক্ষার্থীর মা জানান, অভিযুক্ত বৃদ্ধ তার দাদা সম্পর্ক হওয়ায় প্রতিনিয়ত তার সকালে ঘরে ডাকত। এরপর তাকে নানা ভয় ভীতি দেখিয়ে শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। এভাবে প্রায় ২০ থেকে ২২ দিন অতিবাহিত হলে মেয়ের শারীরিক পরিবর্তন দেখে সন্দেহ হয় তার। গত শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে তাকে নির্যাতনের অবস্থায় দেখে ফেলেন তিনি। এরপরে মেয়েকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আর. এম. ও) আব্দুর রহমান জানান, বর্তমানে ওই শিশুটি গাইনী ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। তার সকল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের ঘটনা বলে মনে হচ্ছে। রিপোর্ট আসলে বিস্তারিত জানানো হবে।

দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. জাকির হোসেন জানান, ভিক্টিমকে ইতিমধ্যে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এখনো পর্যন্ত মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে ঘটনাটি শোনার পর থেকে অভিযুক্তকে আটকের চেষ্টা চলছে।

(আরকে/এসপি/ডিসেম্বর ১০, ২০২৫)