সরদার শুকুর আহমেদ, বাগেরহাট : মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালর ১৩ ডিসেম্বর বাগেরহাটের রামপাল থানা হানাদার মুক্ত হয়। এ দিন সকাল সাড়ে ৭টায়  ৬০জন মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে রামপাল মুক্ত করে লাল সবুজের পতাকা উত্তোলন করেন মুক্তিযুদ্ধকালীন কমান্ডার প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুল জলিল। রামপাল মুক্ত দিবসের ওই দিনে সাধারন আমজনতাসহ বীর মুক্তিযোদ্ধারা বিজয় উল্লাস করেন।

মুক্তিযুদ্ধকালীন রামপারের ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা অতিন্দ্রনাথ হালদার দুলাল বলেন, ১২ ডিসেম্বর রাতে রামপাল থানাকে শত্রুমুক্ত করতে মুক্তিযুদ্ধকালীন কমান্ডার প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুল জলিলের নের্তৃত্বে আমি ও সমরযোদ্ধা টি. আহম্মদ, বাহালুলসহ ৬০জন মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে থানার অপর পার পেড়িখালী বাজারে অবস্থান নেয়া হয়। ১৩ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৬টায় রামপাল থানায় হাজির হলে তৎকালীন ওসি আমিনুর রহমান আতœসমর্পন করে আমাদের অভ্যর্থনা জানান। এরপর সকাল ৭ টায় মুক্তিযুদ্ধকালীন কমান্ডার প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুল জলিল বিজয় পতাকা উত্তোলন করে রামপালকে হানাদার মুক্ত ঘোষণা করেন। পতাকা উড়ানোর পর হানাদার বাহিনীর ৪৫ জন দালাল ও তার দোসরদের থানায় ধরে নিয়ে আসা হয়। তাদের থানায় কয়েকদিন আটকে রেখে বাগেরহাট কারাগারে পাঠানো হয়।

এই বীর মুক্তিযোদ্ধা আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধ একটি চেতনা। একটি কনসেপ্ট। এটা এখনও চলমান রয়েছে। আমরা আমাদের অর্জিত স্বাধীনতাকে সমুন্নত রাখতে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছি। সেটি হচ্ছে শিক্ষা, গণতন্ত্র, মৌলিক অধিকার পূরণ ও বাঙালী সংস্কৃতির বিকাশ ঘটানো।

(এসএসএ/এএস/ডিসেম্বর ১২, ২০২৫)