সোনাতলায় দাদন ব্যবসায়ীর আঘাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় যুবকের মৃত্যু
বিকাশ স্বর্ণকার, সোনাতলা : বগুড়া সোনাতলায় দাদন ব্যবসায়ীর মারপিটে গুরুত্বর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। নিহত ব্যক্তি উপজেলার মধুপুর ইউপি'র পশ্চিম তেকানী গ্ৰামের শ্রীকান্ত সরকার এর ছেলে পলাশ চন্দ্র সরকার (৩০)।
নিহত পলাশের ভাই বিকাশ চন্দ্র সরকার প্রতিবেদককে বলেন, কিছু দিন পূর্বে বগুড়ার মোঃ রুবেল মিয়ার কাছ থেকে দাদন (সুদে) ২লাখ টাকা নেয়। পরবর্তীতে স্থানীয় রফিকুল এর উপস্থিতিতে বগুড়ার রুবেল কে ২লাখ ৭০হাজার টাকা লাভ সহ পরিশোধ করি। এরপর দির্ঘদিন ধরে ঘুরেও রুবেল এর কাছ থেকে আমার স্বাক্ষরিত স্টামটি উদ্ধার করতে পারিনি।কিছুদিন পর হঠাৎ একদিন স্থানীয় আফজাল এর ছেলে শিপন মিয়া,পাভেল মিয়া আমার বাড়িতে এসে রুবেল পাওনা আছে বলে জানিয়ে যায়।গত বৃহস্পতিবার দুপুরে আবার তারা এসে আমার খোঁজ করে।
এসময়ে আমার ভাই বাড়ি থেকে বের হয়ে এলে পাভেল মিয়া ফোন নম্বর চাওয়ার অজুহাতে ছোট ভাই পলাশকে বেদম মারপিট করে। এতে করে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে ওই দিন পলাশকে স্থানীয় বাজার হতে ঔষধ এনে খাওনো হয়।
পরের দিন শুক্রবার অসুস্থতা বেড়ে গেলে সোনাতলায় স্থানীয় ক্লিনিকে নেয়া হয়। ক্লিনিকের চিকিৎসক পলাশকে দেখেই দ্রুত বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন। তাৎক্ষণিক বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে শুক্রবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে পলাশ। আমরা পলাশ এর লাশ বাড়িতে আনলে আত্নীয় স্বজনদের কান্নায় ভেঙে পড়েন।
স্থানীয় তোহিদুল ইসলাম ও পরিমল চন্দ্র জানান, নিহত পলাশ যথেষ্ট ভালো ছিল এবং সবার সাথে হাসি মুখে কথা বলতেন। তবে তারা ওই দাদন ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
এদিকে খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃত পলাশের লাশ থানায় এনে পোস্টমর্টাম রিপোর্টের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
স্থানীয়রা জানান এলাকায় দাদন ব্যবসায়ীদের উৎপাত ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। তাদের খপ্পরে পড়ে কেউবা এলাকা ছেড়েছে,কেউবা সর্বস্বান্ত হয়ে পথে বসেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সোনাতলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কবির হোসেন বলেন মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ের জন্য মৃত পলাশের লাশ পোস্টমর্টেম রিপোর্টের জন্য শজিমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
(বিএস/এএস/ডিসেম্বর ১৫, ২০২৫)
