তুষার বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় এক ঠিকাদারের বিরুদ্ধে টেন্ডার ছাড়া স্লুইচ গেট ভেঙ্গে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জানাজানি হওয়ার পর এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। 

কোটালীপাড়া উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের কাচারীভিটা বাজারের উত্তর পূর্ব পাশে সাতলা-বাগধা বেড়িবাঁধের উপর নির্মিত পুরাতন স্লুইচ গেটটি টেন্ডার ছাড়াই ঠিকাদার আবুল হাসান ভেঙে ভাঙ্গারী ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন।

কাচারীভিটা গ্রামের সমাজসেবক আক্তার হোসেন হাওলাদার বলেন, ১৯৯০ সালে সাতলা-বাগধা বেড়িবাধের কাচারী ভিটা নামকস্থানে একটি স্লুইজ গেট নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে এখানে পানি উন্নয়ন বোর্ড ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন করে থেকে একটি বোট পাসের (স্লুইচ গেট) বাস্তবায়নের টেন্ডার আহবায় করে। মিজানুর আলম ও আরিয়ান এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এ বোট পাস নির্মাণের কাজ পায়েছে। কাজ পাওয়ার পরে এই প্রতিষ্ঠানটি পুরাতন স্লুইচ গেটটি টেন্ডার ছাড়া ভেঙে বিক্রি করছে। এলাকার লোকজন বাঁধা দিয়েছিল। কিন্তু ঠিকাদার তাদের বাধাঁ উপেক্ষা করে স্লুইচ গেটের মালামাল বিক্রি করেছে।

স্থানীয় মুদি দোকানদার রতন বাড়ৈ বলেন, শুনেছি টেন্ডার ছাড়াই ঠিকাদার নাকি ওই স্লুইচ গেট ভেঙেছে। গত কয়েক দিন ধরে ঠিকাদারের লোকজন স্লুইচ গেটের রড টমটম গাড়িতে করে নিয়ে ভাঙারী ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করছে।

এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে আবুল হাসান বলেন, কাচারীভিটা বাজারের সাতলা- বাগধা বেড়িবাঁধের উপরে পুরাতন স্লুইচ গেটের স্থানে নতুন করে একটি স্লুইচ গেট নির্মাণ করা হবে। সে কারণে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা বলে পুরাতন স্লুইচ গেট ভেঙে রেখে দিয়েছি। স্লুইচ গেটের কোন মালামাল বিক্রি করিনি।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী শওকত ওসমান বলেন, ঠিকাদার স্লুইচ গেট এটি করতে পারেন না। পুরাতন স্লুইচ গেটটি টেন্ডার ছাড়া ভাঙ্গার তথ্য আপনাদের (সাংবাদিক) কাছ থেকে পেলাম। ঠিাকাদারী প্রতিষ্ঠান যদি স্লুইচ গেটটি ভেঙ্গে বিক্রি করে থাকে, তা হলে আমি সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।

(বি/এসপি/ডিসেম্বর ২৮, ২০২৫)