বিশেষ প্রতিবেদক : রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু সংস্থা রসাটমের জ্বালানী বিভাগ দেশটির কালিনিনগ্রাদ অঞ্চলে একটি বৃহৎ লিথিয়াম-আয়ন এনার্জী স্টোরেজ কারখানায় পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু করেছে। টেভেল কোম্পানির ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত এই স্থাপনাটির নাম রাখা হয়েছে ‘গিগা ফ্যাক্টরি’। ফ্যাক্টরির উৎপাদন ক্ষমতা বার্ষিক চার গিগাওয়াট-আওয়ার এবং এটি রাশিয়ায় এজাতীয় প্রথম বৃহৎ স্থাপনা বলে রসাটমের মিডিয়া উইং এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।

রসাটম জানায়, এনার্জী স্টোরের ক্ষেত্রে দেশটির প্রযুক্তিগত স্বনির্ভরতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এটি একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক। এই স্থাপনাটিতে সেল কেমিস্ট্রি থেকে শুরু করে ফিনিশড মডিউল এবং সম্পুর্ণ ব্যাটারি সিস্টেম সব কিছুই অন্তরভূক্ত। পূর্ণ উৎপাদন চালু হলে এটি থেকে বছরে ১৫ ল চার্জিং মডিউল অথবা, পঞ্চাশ হাজার ট্র্যাকশন ব্যাটারি (বৈদ্যুতিক গাড়িতে ব্যবহারযোগ্য) পাওয়া যাবে।

উল্লেখ্য, এনার্জী স্টোরেজ ব্যবস্থা বর্তমান বিশ্বে একটি দ্রুত বর্ধনশীল খাত। বৈদ্যুতিক গাড়ি, বাস, ট্রাক, শিল্পে ব্যবহৃত যন্ত্র, লজিস্টিক্স, খনিশিল্প এবং বৈদ্যুতিক অবকাঠামোতে এই প্রযুক্তির ব্যবহার ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ, লোড ব্যালেন্সিং এবং বিদ্যুৎ খরচ কমাতে এটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ধারণা করা হচ্ছে, ২০২৩ সাল নাগাদ রাশিয়ার এনার্জী স্টোরেজের বাজার ২০-৩০ গিগা-ওয়াট ঘন্টাতে পৌছুবে।

রসাটম মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভ প্রকল্পটিকে রাশিয়ার শিল্পখাতে একটি যুগান্তকারী সাফল্য হিসেবে উল্লেখ করেন। লিথিয়াম উত্তোলন থেকে শুরু করে ব্যবহৃত ব্যাটারি পুনঃব্যবহার পর্যন্ত একটি সম্পুর্ণ উৎপাদন চেইন গড়ে তুলতে এবং রাশিয়ার ইলেকট্রো মবিলিটি খাতের উন্নয়নে নতুন স্থাপনাটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

২৩ হেক্টর জুড়ে বিস্তৃত হাইটেক এই স্থাপনাটিতে ২০টি ভবন রয়েছে এবং ৩,০০০ এর অধিক যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হয়েছে। এর উৎপাদন প্রক্রিয়া ৯০ শতাংশই স্বয়ংক্রিয় এবং প্রতি সেকেন্ডে ফ্যাক্টরিটি থেকে একটি করে ব্যাটারি সেল উৎপাদন সম্ভব হবে।

(এসকেকে/এসপি/ডিসেম্বর ২৯, ২০২৫)