তুষার বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিএম সাহাবুদ্দিন আজমকে এবার জুলাই আন্দোলনের সময়কার একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকতাল রবিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিনা খন্দকার আন্না তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।

গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনীর ওপর হামলা ও গাড়ি পোড়ানোর মামলায় গত ১২ জুন গ্রেপ্তার করা হয় সাহাবুদ্দিনকে।

পুলিশ জানায়, চিকিৎসা ভিসায় ভারতে যাওয়ার সময় বেনাপোল ইমিগ্রেশন থেকে সাহাবুদ্দিনকে ধরা হয়। ওইদিন রাতেই তাকে পাঠানো হয় কাশিমপুর কারাগারে। গত ২১ ডিসেম্বর আজমকে এ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ টিপু সুলতান।

আদালত আসামির উপস্থিতিতে শুনানির দিন রোববার ধার্য করেন। এদিন শুনানিকালে সাহাবুদ্দিন আজমকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে আদালত তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেয় বলে জানান প্রসিকিউশন পুলিশের এসআই মিজানুর রহমান।

মামলার বিবরণী অনুযায়ী, গত বছরের ৫ অগাস্ট সকাল ১১টার দিকে পোশাক শ্রমিক রুবেলসহ কয়েকশ ছাত্র-জনতা আদাবরের রিংরোড এলাকায় প্রতিবাদী মিছিল বের করে। এসময় পুলিশ, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, তাঁতীলীগ, কৃষকলীগ, মৎসজীবী লীগের নেতাকর্মীরা গুলি চালায়। এতে রুবেল গুলিবিদ্ধ হয়ে রুবেলের মৃত্যু হয়। আদাবর থানায় করা এ মামলায় বাদীয় হন রুবেলের বাবা রফিকুল ইসলাম।

আজমকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদনে বলা হয়, তিনি একজন আওয়ামী লীগের সক্রিয় প্রভাবশালী পদধারী নেতা। এ আসামি মামলার ঘটনার দিন ও সময় আদাবর থানা এলাকায় সরকারবিরোধী আন্দোলন দমনের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন।

আদালতে সাহাবুদ্দিন আজমের জামিন চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবী এস.এম. শরীফুল। শুনানি নিয়ে আদালত তার জামিন নামঞ্জুরের আদেশ দেয়।

(টিবি/এসপি/ডিসেম্বর ২৯, ২০২৫)