রাজারহাটে হাঁড় কাঁপানো শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত
প্রহলাদ মন্ডল সৈকত, কুড়িগ্রাম : গত এক সপ্তাহ ধরে কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলায় হিমেল হাওয়া আর হাঁড় কাঁপানো শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। দিনভর ঘন কুয়াশায় সূর্য্যের মূখ পর্যন্ত দেখা যায়নি।
আজ সোমবার রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের তথ্য অনুযায়ী, সকাল ৬টায় রাজারহাট উপজেলাসহ আশপাশের এলাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। যেখানে বাতাসের আর্দ্রতা প্রায় ৯৯% ছিল। দিনভর ঘন কুয়াশা ও হিমেল বাতাসের কারণে বাইরে থাকা দায় হয়ে পড়েছে। নিম্নআয়ের খেটে খাওয়া মানুষরা শীতে কাহিল হয়ে পড়েছে, অনেকেই ঘর থেকে বের হতে সাহস পাচ্ছেন না।
দিনমজুররা ঘরের বাইরে কাজ করতে না পারায় উপার্জন বন্ধ হয়ে পড়েছে। ফলে পরিবারপরিজন নিয়ে তারা বিপাকে পড়েছে। প্রচ- ঠান্ডায় গরু-ছাগলসহ গবাদিপশুরাও কাহিল হয়ে পড়েছে। রাজারহাট উপজেলায় শীতার্তদের মাঝে রাত জেগে জেগে শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল বিতরণ করেন রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আল ইমরান। তিনি রবিবার রাতে ছিনাই ইউনিয়নের বৈদ্যেরবাজার এলাকার সংস্কৃতিক টোল প্রতিষ্ঠানে প্রতিমা তৈরির দুস্থ ও অসহায় কারিগরদের মাঝে শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল বিতরণ করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান, প্রেসক্লাব রাজারহাট'র সাধারণ সম্পাদক প্রহলাদ মন্ডল সৈকত, উপজেলা পূজা উদযাপন ফোরামের সদস্য সচিব সুশিল চন্দ্র সরকার ও উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ফোরামের রতন চন্দ্র রায় অর্ঘ্য। এছাড়া তিনি রাত্রিবেলা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরেও অসহায় শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র দিয়েছেন।
রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আল ইমরান বলেন, এবারে রাজারহাট উপজেলায় আড়াই লাখ মানুষের জন্য মাত্র ২৪’শ টি কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এগুলো উপজেলার ইউপি চেয়ারম্যান- ইউপি সদস্যদের মাধ্যমে বিতরণ করা হচ্ছে। কিছু কিছু কম্বল এলাকায় ঘুরে ঘুরে আমি পিআইও কে সঙ্গে নিয়ে দিচ্ছি।
রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, ডিসেম্বরের শেষদিকে কুড়িগ্রাম জেলায় শৈত্যপ্রবাহ দেখা দিতে পারে। এতে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
(পিএস/এসপি/ডিসেম্বর ২৯, ২০২৫)
