বগুড়া প্রতিনিধি : বগুড়ার ধুনটে আখেরী মোনাজাতের মধ্যদিয়ে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিশ্ব ইজতেমার শেষ হয়েছে। আখেরী মোনাজাতে বিশ্ব মুসল্লিম উন্মাহ’র সুখ-শান্তি, সমৃদ্ধি-অগ্রগতি ও কল্যান কামনা করা হয়। মোনাজাতে অংশ নেওয়া মুসুল্লীদের সমাবেত কন্ঠে আমিন-আমিন ধ্বনিতে চারপাশ মুখরিত হয়ে ওঠে।

শনিবার বিশ্ব ইজতেমায় আম বয়ান শেষে আখেরী মোনাজাত পরিচালনা করেন তাবলীগ জামায়াতের কাকরাইল মসজিদের মুরুব্বী মাওলানা মোহাম্মদ হোসাইন। দুপুর ১১.১১মিনিটে মোনাজাত শুরু হলে মুসুল্লীরা দু’হাত তুলে আল্লাহ নিকট দোয়া কবুলের জন্য আমিন-আমিন করতে থাকেন। প্রায় ১৫ মিনিটব্যাপী মোনাজাতে বিশ্ব মুসলিম উন্মাহের সুখ-শান্তি, সমৃদ্ধি-অগ্রগতি ও কল্যান কামনা করা হয়।

বিশ্বব্যাপি মুসলমানদের ঈমানি শক্তি বৃদ্ধি, দ্বীন ইসলাম কায়েমের জন্য দাওয়াতে তাবলীগের মেহনতকে কবুল করার জন্য প্রার্থনা করা হয়। মানুষকে মন্দ কাজ থেকে বিরত রেখে ভাল কাজের তৌফিক দানের জন্য আল্লাহর হেদায়ত কামনা করা হয়েছে। আখেরী মোনাজাতে ইজতেমা ময়দানসহ আশ-পাশের এলাকায় মুসুল্লীরা সমাবেত হয়। ইজতেমা ময়দানের চারপাশের বসতবাড়ী গুলোতে অবস্থান নিয়ে অসংখ্য নারীরা আখেরী মোনাজাতে অংশ নেন। শনিবার বাদ ফজর কাকরাইল মসজিদের মুরুব্বী মাওলানা মাখফুজুর রহমান বয়ান করেন। গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয় ৩ দিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমা।

৩৭তম ইজতেমায় ওয়াজ নসিহত ইসলামি প্রশিক্ষণ পরিচ্ছন্ন নীতিকে অনুসরণ করে দেওয়া হয়, যার নাম হচ্ছে ‘বয়ান’। পবিত্র কোরআন, হাদিস ও শরিয়তের বিষয় সবিস্তারে বয়ান করা হয়। মহানবী (সা.)-এর জীবনাদর্শ, তাঁর সুযোগ্য সাহাবায়ে কিরামদের কর্মময় জীবনের নানা কথা এবং ইসলামের মৌল বিষয়: কালেমা, নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত ও ইমানের নানা দিগ্দর্শন বয়ান করা হয়। এতে ধর্মপ্রাণ মুসুল্লীরা আল্লাহর নৈকট্য ও সন্তুষ্টি অর্জনে নিজেদের উৎসর্গিত করে তোলেন। এবারের ইজতেমায় ১৮টি জামায়াত তৈরি করা হয়েছে। যারা ইজতেমা শেষে দ্বীনি দাওয়াতের কাজে বেরিয়ে পরবেন।

(এএসবি/এএস/ডিসেম্বর ২০, ২০১৪)