নাটোর প্রতিনিধি : বিধি লংঘন করে গোপনে একজন ট্রেড ইন্সট্রাক্টরকে নিয়োগ দিয়ে নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার  বাগাতিপাড়া মডেল হাই  স্কুলের প্রধান শিক্ষকের  পদ চুরির অভিযোগ উঠেছে। ওই নিয়োগের বিনিময়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মোটা অংকের আর্থিক সুবিধা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ স্থানীয়দের। তবে অভিযুক্তরা এধরনের অভিযোগকে ভিত্তিহীন,বানোয়াট ও উদ্যেশ্যপ্রণোদিত দাবি করে বলেছেন, অবৈধ সুবিধা না পেয়ে কেউ এই মিথ্যাচার করে তাদের হেয় প্রতিপন্ন সহ সুনাম ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বাগাতিপাড়া মডেল হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মজিদ গত ২৭ অক্টোবর অবসর গ্রহণ করেন। এসময় সহকারী প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালামকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরবর্তীতে স্কুল পরিচালনা কমিটি আব্দুস সালামকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব থেকে হটিয়ে দিয়ে সরকারি বিধিকে বৃদ্ধাংগুলি দেখিয়ে ট্রেড ইন্সট্রাক্টর খালিদ হোসেনকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেয়। বিষয়টি রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডসহ জেলা শিক্ষা অফিসারকে অবহিত করা হয়। ওই অভিযোগের পর গত ২৫ নভেম্বর রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক বাগাতিপাড়া মডেল স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালামকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন। একই সাথে সহকারী প্রধান শিক্ষককে বাদ দিয়ে কেন ট্রেড ইন্সট্রক্টরকে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রুহুল আমিনের কাছে ৭ দিনের মধ্যে জবাব চেয়ে নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু ওই নির্দেশ পত্রকে তোয়াক্কা না করে ট্রেড ইন্সট্রাক্টরকেই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। উপরন্তু গত ১১ ডিসেম্বর গোপনে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ওই ট্রেড ইন্সট্রাক্টর খালিদ হোসেনকেই প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রুহুল আমিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে প্রথমে কোন কিছু জানাতে অস্বীকার করেন। পরে এই অভিযোগকে মিথ্যাচার বলে দাবী করেন।

জেলা শিক্ষা অফিসার মকছেদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিয়োগ পরিপত্র বর্হিভুতভাবে একজন ট্রেড ইন্সট্রাক্টরকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(এমআর/এএস/ডিসেম্বর ২০, ২০১৪)