বরগুনা প্রতিনিধি : বরগুনার আমতলী উপজেলায় জয়েন্ট ইসলামী ফাইন্যান্স অ্যান্ড কমার্স লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান দেড় হাজার গরিব গ্রাহকের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা তুলে লাপাত্তা হয়ে গেছে।

ভুক্তভোগী কয়েকজন জানান, ২০১০ সালে আমতলী বাঁধঘাটে শহীদুল ইসলাম তালুকদারের ভাড়া ভবনে জয়েন্ট ইসলামী ফাইন্যান্স অ্যান্ড কমার্স লিমিটেড নামে ওই প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় খুলে কার্যক্রম শুরু করে। তাঁরা গ্রাহক তৈরির লক্ষ্যে একজন ব্যবস্থাপক ও ১৫ জন মাঠকর্মী নিয়োগ দেন। ব্যবস্থাপক ও মাঠকর্মীরা সাধারণ মানুষকে অতিরিক্ত মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে আমতলী সদর, চাওড়া, গুলিশাখালী ও কুকুয়া ইউনিয়নের এক হাজার ৪৪২ জন গ্রাহকের কাছ থেকে এককালীন ও বিভিন্ন মেয়াদে ৫০ লাখ টাকা তোলেন। এরপর গ্রাহকদের মেয়াদভিত্তিক কিছু মুনাফা দেন। কিন্তু গত জুন মাসের মাঝামাঝি প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক আলমগীর হাওলাদার ও অন্য কর্মকর্তারা কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে লাপাত্তা হয়ে যান।

আমতলী সদরের গ্রাহক হালিমা বেগম জানান, তিন বছরে দ্বিগুণ মুনাফা দেওয়ার কথা বলে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক আলমগীর হাওলাদার তাঁর কাছ থেকে এককালীন ৫০ হাজার টাকার নিয়েছেন। গরু-ছাগল বিক্রি ও ধারদেনা করে এই অর্থ তিনি জমা দেন।

মাঠকর্মী আরিফা সুলতানা বলেন, আমি ৩৫০ জন গ্রাহকের কাছ থেকে ৩৭ লাখ টাকা তুলে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপকের কাছে জমা দিয়েছি। একইভাবে আমতলী সদর, চাওড়া, গুলিশাখালী ও কুকুয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার এক হাজার ৪৪২ জন গ্রাহকের কাছ থেকে টাকা তুলে নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান সুলতান আহম্মেদ ও এমডি নাসির উদ্দিন।
প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক আলমগীর হাওলাদার জানান, তাঁরা গ্রাহকদের লগ্নি করা অর্থ চেয়ারম্যান সুলতান আহম্মদ ও এমডি নাসির উদ্দিনের নামে কৃষি ব্যাংক আমতলী শাখার যৌথ হিসাবে জমা করেন। চেয়ারম্যান ও এমডি গ্রাহকদের লগ্নিকৃত সব অর্থ ইটভাটা করার কথা বলে তুলে নিয়ে গেছেন।

(এমএইচ/এএস/ডিসেম্বর ২১, ২০১৪)