স্টাফ রিপোর্টার : দেশের অন্যতম প্রাচীন সংবাদপত্র দৈনিক ইত্তেফাক প্রকাশনার ৬২তম বর্ষে পদার্পন করছে আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর)। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে রাজধানী ঢাকা ও খুলনায় আয়োজন করা হয় শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন অনুষ্ঠানের।

দুপুর বারোটায় রাজধানীর ইত্তেফাক ভবনে কেক কেটে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন অনুষ্ঠানের সূচনা করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

ইত্তেফাক বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী সংবাদপত্র মন্তব্য করে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ইতিহাসের বিভিন্ন পর্যায় জনগণের কথা স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছিলো ইত্তেফাক।

তিনি বলেন, ৬২ বছর পথ চলায় বলিষ্ঠ উচ্চারণে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ উপস্থাপনে এক অনন্য সংবাদপত্র দৈনিক ইত্তেফাক।

তথ্য মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, মাওলানা ভাসানী, শহীদ সোহরাওয়ার্দী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তোফাজ্জন হোসেন মানিক মিয়া এই চারজনের ভূমিকায় ইত্তেফাক।

তিনি বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের যে গণদাবি সে দাবির মুখপত্র হিসেবে ইত্তেফাক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বস্তু নিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশে ইত্তেফাক বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে এসেছে, আগামীতেও এর দাপটে টিকে থাকবে।

সংবিধান প্রণেতা ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম বলেন, এদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলন, ৬ দফা থেকে শুরু করে ১১ দফা, আইউব-মোনায়েম এর পতন এবং বাংলাদেশের ইতিহাসে ইত্তেফাকের যে ভূমিকা রেখেছে তা চিরস্মরণীয়।

তিনি বলেন, ইত্তেফাকের মালিকানা প্রজন্মের পর প্রজন্ম বদলালেও এর বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন কোনো ঘাটতি আসেনি।

ইত্তেফাক সাংবাদিক তৈরির আতুড় ঘর মন্তব্য করে তিনি বলেন, অনেক কলামিস্ট সাংবাদিক এই ইত্তেফাকের সৃষ্টি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়া, দৈনিক ইত্তেফাকের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক তানলিমা হাসান, দৈনিক সমকাল পত্রিকার সম্পাদক গোলাম সারোয়ার, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, এটিএন নিউজের হেড অব নিউজ মুন্নি সাহা, বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, এম কে আনোয়ার, ড. মঈন খান, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ফিরোজ রশিদ, ঢাকার জেলা পরিষদ প্রশাসক হাসিনা দৌলা প্রমুখ।

এদিকে ঢাকার বাইরে খুলনাতেও আড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালিত হয় দৈনিক ইত্তেফাকের ৬২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী।

খুলনা ব্যুরো অফিসের উদ্যোগে বুধবার স্থানীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ উপলক্ষ্যে সুধী সমাবেশ, র্যালি ও কেক কাটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য ও খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও মাহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, জেলা পরিষদের প্রশাসক ও খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশিদ, খুলনা বিভাগীয় প্রেসক্লাব ফেডারেশনের চেয়ারপার্সন লিয়াকত আলী কেকে কেটে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন।

অনুষ্ঠানে খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি ফারুক আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক এসএম জাহিদ হোসেন, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম কাজল, সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম সোহাগ, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মকবুল হোসেন মিন্টু ও শেখ আবু হাসান, সিটি কর্পোরেশনের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাহবুব কায়সারসহ বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

পরে প্রেসক্লাব থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়ে নগরীর কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

(ওএস/এএস/ডিসেম্বর ২৪, ২০১৪)