স্পোর্টস ডেস্ক : আগামী মাসের ৫ তারিখে বিশ্বকাপের জন্য ১৫ সদস্যের চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা করবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এর আগে বিশ্বকাপ স্কোয়াড নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করছেন নির্বাচকরা। প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে তাই দৃষ্টি নিবদ্ধ নির্বাচকদের। তবে বিশ্বকাপের মূল দলে চমক থাকছে না। প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদের কথায় তা স্পষ্ট। এই বিষয়ে তিনি বলেছেন, ‘লিগ থেকে নতুন কাউকে নেওয়ার সুযোগ নেই। প্রাথমিক স্কোয়াডের বাইরে যেতে পারব না। যারা আমাদের চিন্তায় ছিল তাদেরকে জিম্বাবুয়ে সিরিজে পরখ করে দেখেছি আমরা। চূড়ান্ত স্কোয়াডে ২ একজন তরুণ থাকবে। তবে তারা ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজেদের চিনিয়েছে।’ তার এই কথায় শহীদ-লিটনদের স্বপ্ন ভঙ্গ হচ্ছে! তবে এর জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও কয়েকটা দিন।

শুক্রবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে কথা বলেছেন ফারুক আহমেদ। রুবেল এবং আল-আমিন তার দৃষ্টিতে প্রত্যাশিত পারফর্ম করতে পারেননি। তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘তবে তাসকিন আহমেদ, মাশরাফি বিন মর্তুজা, মোহাম্মদ শহিদ ও আবুল হাসান রাজু ভাল পারফর্ম করেছেন। ইনজুরি কাটিয়ে ফিরেছে শফিউলও। গত কয়েক মাসের দিকে তাকালে দেখা যাবে, আল আমিন ভাল খেলেছে। তবে আইসিসির সন্দেহের নজরে পড়ে তার খেলা ব্যহত হয়েছে। আশা করি, বর্তমানের বাজে সময়টা সে কাটিয়ে উঠবে। বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে আমরা ২ সপ্তাহের অনুশীলন ক্যাম্প করব। দেশে দু’টি অনুশীলন ম্যাচও খেলা হবে। আশা করি, খেলোয়াড়রা নিজেদের সেরাটা দিতে পারবে।’

তাসকিনের বিষয়ে ফারুক আহমেদ বিস্তারিত বলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘তাসকিন দারুণ খেলছে। কয়েকটি ম্যাচে ৯ ওভার করে বোলিং করেছে। পিঠের ইনজুরি থেকে ফিরে দারুণ ফর্মে আছে সে। সেও (তাসকিন) মাশরাফির মতো ইনজুরিপ্রবণ। এটি ম্যানেজ করতে হবে। আমরা এমন স্কোয়াড করতে চাই যেখানে সবাই খেলতে পারবে।’

জুবায়ের সম্পর্কে ফারুক আহমেদ বলেছেন, ‘জুবায়ের আমাদের চিন্তায় আছে। তবে কার্যকর স্কোয়াড গড়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কন্ডিশনের কথা চিন্তা করে আমাদের চূড়ান্ত স্কোয়াডটা বানাতে হবে। স্কোয়াডে দরকার মনে করলে আমরা তাকে ডাকব। চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণার আগে কিছুই বলা যাচ্ছে না।’

শুক্রবার বিশ্বকাপ নিয়ে কথা বলার পাশাপাশি বাংলাদেশ প্রমীলা ক্রিকেট নিয়েও কথা বলেছেন ফারুক আহমেদ। তিনি বলেছেন, ‘নারী দলকে ঢেলে সাজাতে চাই আমরা। গত ৫ বছর ধরে ২২ জন খেলোয়াড়ই খেলছে। তাদের বাইরে নতুন কেউ উঠে আসেনি। আমরা ৩০-৪০ জনকে বাছাই করেছি ওপেন ট্রায়ালের জন্য। এখান থেকে ১৬-১৭ নতুন খেলোয়াড় পাব আমরা। নারী দলের স্কোয়াডে ৩৮ জন সদস্য আছে। যারা এখন মাঠে খেলছে। এখান থেকেই জাতীয় দলের ব্যাকআপ খেলোয়াড় বের করতে হবে আমাদের। ’

তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘আমরা জাতীয় দলের পাশাপাশি একটি 'এ' দল তৈরি করতে চাই। জাতীয় দলের পাইপলাইন তৈরি করার জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য নারী স্কোয়াডকে ভাগ করে আমরা কিছু ম্যাচের আয়োজন করেছি। বিকেএসপিতে ১৯ থেকে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩টি অনুশীলন ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আরও ৩টি ম্যাচ হচ্ছে একাডেমী মাঠে।’

(ওএস/এইচআর/ডিসেম্বর ২৭, ২০১৪)