বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাট জেলা কমিটির নির্দেশ অমান্য করে কয়েক লাখ টাকা অর্থ বানিজ্যের মাধ্যমে  শরণখোলা উপজেলায়  ১২ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় দপ্তরি কাম নৈশ প্রহরী নিয়োগ দিয়েছেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা।

ইতোমধ্যে ওই সকল বিদ্যালয়ে নিয়োগ পাওয়া প্রার্থীরা শিক্ষা কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামান মিলন ও হিসাবরক্ষন কর্মকর্তা বিপুল কান্তী মণ্ডলের যোগসাজশে দুমাসের (মার্চ- এপ্রিল) সরকারী বেতনের টাকা জনতা ব্যাংক শরণখোলা শাখা থেকে উত্তোলন করে নিয়েছে ।

সরকারী প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক (ডিজির) অনুমোদন ছাড়া ২০১৩ সালের ৮ অক্টোবর শরণখোলা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়গুলোর প্রধান শিক্ষক, সভাপতি ও স্থানীয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেনের সহায়তায় কম্পিউটার কম্পোজ করা বিজ্ঞপ্তি এলাকার বিভিন্ন স্থানে সাটিয়ে জনপ্রতি ৩/৪ লাখ টাকা করে প্রায় অর্ধকোটি টাকা অর্থ বানিজ্যের মাধ্যমে তড়িঘড়ি করে দপ্তরি কাম নৈশ প্রহরীর অবৈধ নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে।

এ নিয়ে ২০১৩ সালের অক্টোবর মাসে বিভিন্ন গন মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে উর্দ্ধতন কতৃপক্ষ ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কমিটি শরণখোলার উপজেলার ওই ১২ টি বিদ্যালয়ের দপ্তরি কাম নৈশ প্রহরী নিয়োগ না দেয়ার জন্য চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা পারভিন জাহান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে শরণখোলা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে ওই নিয়োগ বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশ প্রদান করে।

ওই নির্দেশ না মেনে শিক্ষা কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামান মিলন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নেতা আলমগীর হোসেনের মাধ্যমে পুনরায় জনপ্রতি প্রার্থীদের কাছ হতে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা অর্থ বানিজ্যের মাধ্যমে জেলা কমিটির নির্দেশের প্রতি বৃদ্ধাআঙ্গুলি প্রদর্শন করে ১২ টি স্কুলের নৈশ প্রহরী নিয়োগ দেন ।

উপজেলা হিসাব কর্মকর্তা বিপুল কান্তি মন্ডল জানান, শিক্ষা কর্মকর্তা আমাকে বেকায়দায় ফেলতে মিথ্যা তথ্য দিয়ে নৈশ প্রহরীদের দুই মাসের বেতন করে নিয়েছে। এখন থেকে ওই দপ্তরীদের বেতন বন্ধ থাকবে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামান মিলন জানান, নিয়ম নীতি মেনেই দপ্তরীদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এখানে কোন অনিয়মের আশ্রয় নেয়া বা অর্থ বানিজ্যের ঘটনা ঘটেনি ।

(একে/জেএ/মে ০৬, ২০১৪)