নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : জেলায় সোমবার সকালে পৃথক পৃথক স্থানে বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে ১০ জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ছাত্রদলের একটি মিছিলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ধাওয়া দেয়।

তবে পুলিশের দাবি, তারা ফাঁকা গুলি করেছে। গুলিতে আহত হওয়ার খবর তাদের জানা নেই।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার সকাল ১১টায় বন্দরের নবীগঞ্জ এলাকায় সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম ও মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক আবুল কাউসার আশার নেতৃত্বে কালো পতাকা মিছিল বের করে। ওই সময় পুলিশ বাধা দিলে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়।

সংঘর্ষের সময়ে নেতাকর্মীরা পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যানে আগুন দেয়। পরে পুলিশ টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করলে বিএনপির নেতাকর্মীরা পালিয়ে যায়।

মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক আবুল কাউসার আশা জানান, পুলিশের ছোড়া গুলিতে অন্তত ১০ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১৫-২০ জন। তবে তাদের পরিচয় জানাতে পারেননি তিনি।

বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, বিএনপির নেতাকর্মীরা নাশকতার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় পুলিশ ফাঁকা গুলি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীবের নেতৃত্বে মিশনপাড়া এলাকা থেকে ছাত্রদলের একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি চাষাঢ়ার দিকে যাওয়ার সময় শহরের বাগে জান্নাত মসজিদের সামনে আসামাত্র পুলিশ বাধা দিলে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় চাষাঢ়া বিজয় স্তম্ভে জেলা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে থাকা নেতাকর্মীরাও ছাত্রদলের মিছিলে ধাওয়া দিলে উত্তেজনা চরমে পৌঁছে। একপর্যায়ে পুলিশ গুলি করে মিছিলকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মঞ্জুর কাদের জানান, পুলিশ ৩৩ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে মিছিলকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তবে গুলিতে আহতের বিষয়টি তিনি জানেন না বলেও জানান।

(ওএস/এটিআর/জনুয়ারি ০৫, ২০১৫)