সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সোমবার ভোরে সাতক্ষীরা শহরের মুনজিতপুরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ইকরামুল কবির গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় বেরিয়ে এসেছে নানা তথ্য।

যশোরের শার্শা উপজেলার কালিয়ানি গ্রামের খলিলুর রহমানের মেয়ে গোগা কালিয়ানি আলিম মাদ্রাসার আলিম দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী নাসরিন সুলতানা বলেন, এক বছর আগে ভালবেসে সহপাঠি গোগা গ্রামের ইকরামুল কবীরকে তিনি বিয়ে করেন। স্বামীকে নিয়ে ১১ দিন বাপের বাড়িতে অবস্থান করার পর রবিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ইকরামুলকে মোবাইল ফোনে ডেকে পাঠায় জনৈক ভাড়া মোটর সাইকেল চালক ও ভাঙড়ি ব্যবসায়ি কালিয়ানি গ্রামের জাহিদ হোসেন। জাহিদের বাবা একজন দুধ বিক্রেতা। জাহিদ বর্তমানে বুলাটি গ্রামে তার শ্বশুর বাড়িতে থাকে। জাহিদের বিরুদ্ধে ছিনতাইকৃত মোটর সাইকেল ও বিভিন্ন মালামাল কেনা ও বেচার অভিযোগ রয়েছে। নাসরিন সুলতানা জানান, তার স্বামীকে কখনো অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকতে দেখেননি বা শোনেননি তিনি। অথচ জাহিদের মোবাইল পেয়ে দুপুরে বাড়ি ফিরব বলে না আসায় তার সন্দেহ হয়। জাহিদ তার স্বামী ইকরামুলকে প্রলোভন দেখিয়ে সোমবার রাতে কয়েকজনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয় বলে একটি সূত্র থেকে জেনেছেন। ওইসব লোকজন ছিনতাইকারি হিসেবে সাতক্ষীরার কোন এক স্থানে অবস্থান করাকালে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে অন্যরা পালিয়ে গেলেও পুলিশ ইকরামুলকে তাড়িয়ে ধরে ছিনতাইকারি হিসেবে পায়ে গুলি করে হাসপাতালে ভর্তি করে। তবে ইকরামুলের সম্পূর্ণ জ্ঞান ফিরে না আসা পর্যন্ত বিস্তারিত বলা যাবে না বলে তিনি জানান।

(আরকে/পি/জানুয়ারি ০৬, ২০১৪)