মাদারীপুর প্রতিনিধি : মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ভূরঘাটা মজিদবাড়ি বাজারের উন্নয়নের জন্য ২৭ লাখ ৯৬ হাজার ৭৯৩ টাকা ব্যয়ে ঘাটলা নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এতে করে বাজারের ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ইতোপূর্বে ঘাটলা নির্মাণের মালামাল ও সরঞ্জামাদি নিয়ে চলে গেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। উপজেলা এলজিইডি ও স্থানীয়রা জানায়, ভূরঘাটা মজিদবাড়ি বাজারের উন্নয়নে ২০১৩ সালের নভেম্বরে বৃহত্তর ফরিদপুর জেলায় অবকাঠােেমা উন্নয়ন প্রকল্প ২য় ফেইজে ২৭ লাখ ৯৬ হাজার ৭৯৩ টাকা ব্যয়ে আমানতগঞ্জ খালে একটি ঘাটলা নির্মাণের দরপত্র আহ্বান করে মাদারীপুর এলজিইডি।

সে’মতে মেসার্স সোনালী স্টোর নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ পায়। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে কার্যাদেশ দেয়া হলে কাজ শুরু করা হয়। ঘাটলাটি নির্মাণের স্থান ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের একটি ব্রীজের পাশে হওয়ায় হঠাৎ করেই সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সেখানে গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এরপর থেকেই ঐ স্থানে ঘাটলা নির্মাণ নিয়ে মাদারীপুর জেলা সড়ক ও জনপদ বিভাগের সাথে মাদারীপুর জেলা এলজিইডি বিভাগের মধ্যে টানাপোড়ন সৃষ্টি হয়। ফলে বন্ধ হয়ে যায় ঘাটলা নির্মাণের কাজ।


সম্প্রতি ঘাটলা নির্মাণের মালামাল ও সরঞ্জামাদি নিয়ে চলে যায় ঐ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এতে ঘটলা নির্মাণ হবে কিনা তা নিয়ে বাজারের ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক আ. হক সরদার, বরিশাল মেডিকেল হলের মালিক জুয়েল হাওলাদারসহ ২০/২৫জন ব্যবসায়ী আক্ষেপ করে বলেন, ‘ঘাটলা নির্মাণ শুরু হলে বাজারে একটি নতুন সম্ভাবনার সৃষ্টি হয়। কিন্তু এখন বন্ধ হওয়ায় আমরা হতাশ হয়ে পড়েছি। আমরা ঘটলাটি দ্রুত নির্মাণের দাবী জানাই।
সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্ত্বাধিকারী মাহবুব হোসেন বলেন, ‘কার্যাদেশ পেয়ে আমরা দ্রুত কাজ শুরু করি। কিন্তু এখন এলজিইডি ও সড়ক ও জনপদ বিভাগের ঠেলাঠেলিতে কাজ বন্ধ করতে বাধ্য হই। এটির সমাধান হলে কাজ পুনরায় শুরু করব।’ এ ব্যাপারে মাদারীপুরের এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী নির্মল কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা সড়ক ও জনপদ বিভাগের সাথে এনওসি পাওয়ার জন্য আলোচনা চালাচ্ছি।’

মাদারীপুর জেলা সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, ‘ আমরা ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কটি ৪ লেনে উন্নিত করার প্রস্তাবনা থাকায় ঐ স্থানের ব্রীজটি পুনঃনির্মাণ করা হবে। তাই সেখানে সার্ভে না করে ঘাটলা নির্মানের অনুমতি দিতে পারিনা।’

(এসিএ/পি/জানুয়ারি ০৬, ২০১৪)