নাটোর প্রতিনিধি : নাটোরে নিহত রাকিবকে নিজেদের কর্মী দাবী করে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছে আওয়ামীলীগ ও বিএনপি। এই হত্যাকান্ডের জন্য সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবুল হোসেন ও তার সহযোগীরা জড়িত বলে আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেছেন। অপরদিকে বিএনপি নেতৃবৃন্দের অভিযোগ, আওয়ামীলীগ নিজেদের মত করে হত্যাকান্ডের গল্প সাজাতে লাশ হাইজাক করেছে।

মঙ্গলবার সকালে নাটোর প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জেলা আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক স্থানীয় সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল অভিযোগ করেন. বিএনপি সন্ত্রাসীরা শান্ত নাটোরকে অশান্ত করতে পরিকল্পিতভাবে ছাত্রলীগ কর্মী রাকিব ও তার বন্ধু রায়হানকে হত্যা করে এর দায় আওয়ামীলীগের ঘারে চাপাতে চায়। শহরের তেবাড়িয়া উত্তরপাড়া এলাকার আওয়ামীলীগ সমর্থক চাঁন মুন্সির ছেলে ছাত্রলীগ কর্মী রাকিব ও তার বন্ধু সিংড়া উপজেলার গাইনপাড়া এলাকার শামছুল হক মিঠুনের ছেলে রায়হানকে প্রতিবেশী দুলাল বেপারীর ছেলে একাধিক মামলার আসামী আবুল হোসেন ও তার বাহিনী গুলি করে হত্যা করে। তেবাড়িয়া ছাগল হাটা এলাকায় তাদের দু’জনকে ধরে বুকে পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। পরে রাকিবের ভাই আঞ্জুম বাদী হয়ে নাটোর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ময়না তদন্ত শেষে নিহত রাকিবের লাশ কেন্দ্রীয় ইদগাহ মাঠে জানাজা নামাজ শেষে দাফন করা হয়। রাকিবের পরিবারের সদস্যরা তার লাশ দাফন করেছে। তিনি এই হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত দাবী করে প্রকৃত খুনিদের মুখোশ উন্মোচন করতে প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকার, আওয়ামীলীগ নেতা অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম, সৈয়দ মোস্তাক আলী মুকুল, আব্দুল মালেক শেখ, দিলীপ কুমার দাস, সৈয়দ মোর্তুজা আলী বাবলু, যুবলীগ সভাপতি এহিয়া চৌধুরী, রনজিত কুমার দাস, আলেক শেখ, আঞ্জুমান আরা পপি প্রমুখ।

অপরদিকে দুপুরে জেলা বিএনপি শহরের আলাইপুরস্থ দলের অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নিহত রাকিব ও রায়হানকে ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী দাবী করে । সংগঠনের সাধারন সম্পাদক আমিনুল হক অভিযোগ করেন,আওয়ামীলীগ নিহত রাকিবের লাশ হাইজাক করে নিজেদের কর্মী বলে প্রচার করে। এমনকি তাড়াহুড়া করে লাশ দাফন করতে বাধ্য করা হয়েছে। তিনি দাবী করে বলেন,রাকিব নাটোর এনএস কলেজ শাখা ছাত্রদলের ক্রীড়া সম্পাদক এবং রায়হান সিংড়া পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রচার সম্পাদক। তার বাবা শামছুল হক মিঠুন ওই ওয়ার্ডের বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি এই হত্যাকান্ডের নিন্দা জানিয়ে হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী করেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত নিহত রায়হানের বাবা শামছুল হক মিঠুন তার ছেলের হত্যার বিচার দাবী করেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা কাজী শাহ আলম, রহিম নেওয়াজ, পৌর মেয়র শেখ এমদাদুল হক আল মামুন, ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহিন, রবিউর রহমান টিটন প্রমুখ।

(এমআর/পি/জানুয়ারি ০৬, ২০১৪)