নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর রানীনগর উপজেলার হরিপুর গ্রামের সংখ্যালঘুদেরকে নিজ নিজ বাড়িতে অবরুদ্ধ রেখে বিবাদমান পুকুরের প্রায় লক্ষাধিক টাকার মাছ লুট করেছে প্রতিপক্ষরা। এতেও তারা ক্ষান্ত না হয়ে গ্রামের সংখ্যালঘু হিন্দুদের আবারো মারধরের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এতে গ্রামের নীরিহ সংখ্যালঘুরা ফের আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।

জানা গেছে, ওই গ্রামের রাধা-গোবিন্দের নামে দেবোত্তর পুকুরের সেবায়েতের কাছ থেকে মৌখিক লীজ নিয়ে বংশপরম্পরায় পুকুরে মাছ চাষ করছিল পাশের গ্রামের বিএনপি কর্মী আব্দুল খালেক। একপর্যায় খালেক ওই পুকুরের মালিকানা দাবী করে গত ২০ অক্টোবর সকালে বহিরাগত লাঠিয়াল নিয়ে গ্রামের সংখ্যালঘু পরিবারে হামলা, মারপিট, লুটপাট এবং ৪ সংখ্যালঘু নারীকে বিবস্ত্র করে মারপিট করে। এঘটনায় থানায় মামলা হলে পুলিশ খালেককে গ্রেফতার করে। এরপর মামলা-পাল্টা মামলা চলতে থাকে। কিন্তু সংখ্যালঘুদের ওপর হুমকি-ধামকি কমেনি। এরই এক পর্যায় শনিবার রাতে গ্রামের রুপচাঁন সরকারের বাড়ি ঘেরাও করে রেখে পুকুরের মাছ লুট করে নিয়ে যাওয়া হয়। মঙ্গলবার এব্যাপারে রুপচাঁন জানান, মামলা নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থানীয় প্রশাসন পুকুরের মাছ মারা থেকে উভয়পক্ষকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু রাতের আঁধারে মাছ লুটের ব্যাপারে প্রতিপক্ষকেই দায়ী করছেন সংখ্যালঘুরা।
বিশ্বজিৎ মনি।

(বিএম/পি/জানুয়ারি ০৬, ২০১৪)