নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় জমি লিখে না দেয়ায় বাবা ও সৎ মাকে ভাড়াটিয়া খুনী দিয়ে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছে নিহতের মেয়ে হাবিবা (২৪)।

মঙ্গলবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মনোয়ারা বেগমের আদালতে ১৬৪ ধারায় হাবিবা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

আদালতে হাবিবার জবানবন্দির বরাত দিয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) আতাউর রহমান জানান, ছেলে-মেয়ে ও প্রথম স্ত্রীকে জমি লিখে না দেয়ায় ভাড়াটিয়া খুনী দিয়ে ব্যবসায়ী আমান উল্লাহ ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী হোসনে আরাকে খুন করানো হয়েছে। ঘটনার ১৫দিন আগে আমান উল্লাহর প্রথম স্ত্রী রাজিয়া বেগম ছেলে আরিফ ও বড় মেয়ে হাবিবা খুন করার পরিকল্পনা করে। সে মতে ছেলে আরিফ তার তিন বন্ধুকে দেড় লাখ টাকায় ভাড়া করে। ঘটনার রাতে মেয়ে হাবিবা সরবতের সঙ্গে ঘুমের ঔষধ মিলিয়ে বাবা ও সৎ মা হোসনে আরাকে খাইয়ে দেয়। এরপর আমান উল্লাহর ছেলে আরিফ তার তিন বন্ধুকে নিয়ে রাত ৩টার দিকে বাসায় আসে। হাবিবাকে ডাকলে সে বাসার গেইট ও দরজা খুলে দেয়। তারা ঘরে প্রবেশ করে আমান উল্লাহ ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী হোসনে আরাকে কুপিয়ে খুন করে চলে যায়। এরপর হাবিবা চিৎকার করে আশপাশের লোকজন জড়ো করে। তদন্তের স্বার্থে ভাড়াটিয়া খুনীদের নাম প্রকাশ করেনি তদন্তকারী কর্মকর্তা।

এসআই আতাউর আরো জানান, ঘটনার পর পরেই আমান উল্লাহর দুই শ্যালক আলমগীর ও আবু বক্কর সিদ্দিকীকে আটক করা হয়েছিল। ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা না থাকায় তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় হোসনে আরার ভাই আব্দুল হাই বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন।

এদিকে ময়নাতদন্ত শেষে মঙ্গলবার দুপুরে আমান উল্লাহর মৃতদেহ তার ভাগিনা বাদল এবং হোসনে আরার মৃতদেহ তার ভাই আব্দুল হাই ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট এলাকায় দাফনের জন্য নিয়ে যায়।

উল্লেখ্য, ফতুল্লার কাশিপুর ভোলাইল গেইদ্দারবাজার এলাকায় রবিবার দিবাগত রাতে খুন হয় ব্যবসায়ী আমান উল্লাহ ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী হোসনে আরা।

(ওএস/এইচআর/মে ০৭, ২০১৪)