স্টাফ রিপোর্টার : নারায়ণগঞ্জ ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলামসহ ৭ জনকেই লাশ পাওয়ার ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা আগে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. দুলাল চন্দ্র চৌধুরী।

বুধবার নিহত সাতজনের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর তিনি এ কথা জানান।

নারায়ণগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. দুলাল চন্দ্র চৌধুরী জানান, লাশ পাওয়ার ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা আগে নারায়ণগঞ্জ ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ও আইনজীবী চন্দন সরকারসহ ৭ জনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। একটি পেশাদারী গ্রুপ এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে মনে করেন তিনি।

ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে জানা গেছে, নিহত সবাকেই একইভাবে হত্যা করা হয়েছে। সবাইকেই মাথায় আঘাত করে গলায় রশি দিয়ে বেঁধে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। তাদের বুকেও আঘাতের চিহ্ন ছিল।

এছাড়া হত্যার পরে লাশ যাতে ভেসে না ওঠে, সে জন্য তাদের সবার পেটে নাভির পাশে ছিদ্র করে দেওয়া হয়েছিল।

নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আসাদুজ্জামান মিয়া প্রাথমিকভাবে জানান, নিহতদের মরদেহের ময়নাতদন্ত করার ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা আগে তাদের হত্যা করা হয়। নির্যাতন ও শ্বাসরোধ করে এদের সাতজনকে হত্যা করা হয়।

গত ২৭ এপ্রিল দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী চন্দন সরকারসহ ৭ জন ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে অপহৃত হন। এর ৩ দিন পর শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।

(ওএস/এটি/মে ০৭, ২০১৪)